ছোট লক্ষ্য পেয়ে যেমন ছিল ড্রেসিংরুমের আবহ
সিরিজ জেতার ম্যাচে ইনিংস বিরতির সময়ই অনেকটা উৎসবের আভাস তৈরি করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। জেতার অর্ধেক কাজ যে তখনই সারা। শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে স্রেফ ১১৭ রানে আটকে দিয়ে তেমনটাই তো হওয়ার কথা। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন, বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম তখনো ছিল না নির্ভার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
১৯তম ওভারে ক্রিস জর্ডানের বলে কাভার দিয়ে দুই চার মেরেই তাসকিন আহমেদের বুনো উল্লাস। আরেক প্রান্ত থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন তাকে। বাংলাদেশ দল তখন আনন্দে মাতোয়ারা।
তার আগের কয়েক ওভারে তৈরি হয়েছিল দোলাচল। ১৮তম ওভারে আফিফ হোসেন যখন আউট হন তখন একটু হলেও শঙ্কা ছিল। শেষ দুই ওভারে ১৩ রানের প্রয়োজনীয়তা ৮ বল আগেই মিটেছে। একাদশ ওভারে ৫৬ রানে ৩ উইকেট পড়ার পরও কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না। মন্থর উইকেটে রান করা ছিল কঠিন। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মিলে তখন ৪১ রানের দারুণ জুটি পান মিরাজ।
ম্যাচ শেষে তিনি জানান, আগেভাগেই আত্মহারা হননি তারা, 'ওদের অলআউট করে দিয়েছি তাই খুশিতে থাকা- এরকম কিছু ছিল না। অধিনায়ক বারবার বলছিল, এখনই খুশি হওয়ার কিছু নেই। খেলা শেষ হলে তারপর আমরা উদযাপন করব। এখন প্রত্যেকটা মোমেন্ট যেন আমরা সিরিয়াস থাকি ও মাঠে যারা ব্যাট করছে তাদের যেন সাপোর্ট করি ড্রেসিং রুম থেকে।'
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো করেছিল ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে তুলেছিল ৫০ রান। এরপর আর কেবল ৬৭ রান যোগ করতে পারে তারা। বোলিংয়ে এই ঘুরে দাঁড়ানোতে টার্নিং পয়েন্ট দেখছেন মিরাজ, 'ওরা কিন্তু শুরুটা খুব ভালো করেছিল। প্রথম ছয় ওভারে ৫০ রান এক উইকেট ছিল। সাকিব ভাই একটা ব্রেকথ্রু দিলো, এপাশ থেকে হাসান মাহমুদ দিলো। তারপর আমি টানা দুই উইকেট নিলাম। এটা ওদেরকে মোরালি ডাউন করেছে। জুটি না হলে দলের জন্য কঠিন হয়ে যায়। ওরা এখানেই ভুল করেছে। ওরা যদি ভুল না করত, তাহলে ১৬০ এর বেশি রান হতো যেভাবে শুরুটা হয়েছিল। আমাদের বোলারদের অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের বোলাররা খুব ভালো করেছে। আপনি যতই বলেন, উইকেট খারাপ, খারাপ, অনেক টার্ন করছিল। কিন্তু এমন ছিল না যে খেলা যাচ্ছিল না।'
Comments