নাঈমের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে হারাল আবাহনী, উজ্জ্বল আফিফ-সাইফউদ্দিনও
ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের শতরানের উদ্বোধনী জুটির পর পথ হারাল মোহামেডান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের তোপে তারা থামল আড়াইশর নিচে। এরপর নাঈম শেখের অপরাজিত বিস্ফোরক সেঞ্চুরি ও আফিফ হোসেনের আক্রমণাত্মক ইনিংসে অনায়াস জয় পেল আবাহনী।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে ৬ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৫ রান করে ইমরুলের নেতৃত্বাধীন মোহামেডান। জবাবে ৯৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
আবাহনীকে দ্রুততার সঙ্গে জেতাতে ব্যাট হাতে মূল ভূমিকা রাখেন ছন্দে থাকা বাঁহাতি ওপেনার নাঈম। তিনি ১২৭.৯১ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ১১০ রানের হার না মানা ইনিংস। ৮৬ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১১ চার ও ৪ ছক্কা। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ার দিনে আফিফ করেন ৪৯ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছয়। বল হাতে অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন ১০ ওভারে ৪৫ রানে নেন ৪ উইকেট।
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তিন ম্যাচে আবাহনীর এটি তৃতীয় জয়। নেট রান রেটের হিসাবে তারা আছে আসরের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। লিগে এখনও জয়ের স্বাদ মেলেনি মোহামেডানের। তিন ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় হার, বাকিটি পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টিতে। তাদের অবস্থান ১২ দলের পয়েন্ট তালিকার দশে।
আগে ব্যাট করে দারুণ শুরু পায় মোহামেডান। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৮.৩ ওভারে ১৩৭ রান। ইমরুলকে বিদায় করে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। এরপর আর ১৩ রান যোগ করতে আরও ৩ উইকেট হারায় দলটি। সৌম্য সরকারকেও টিকতে দেননি তানভীর। অঙ্কনকে ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে পাঠানোর পর মাহমুদউল্লাহকেও বিদায় করেন সাইফউদ্দিন।
ভারতীয় অনুস্তুপ মজুমদার ও আরিফুল হক এরপর হাল ধরেন। তারা পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। অনুস্তুপ থিতু হয়ে আউট হওয়ার পর আরিফুল পারেননি স্লগ ওভারের দাবি মেটাতে। ব্যর্থ হয় লোয়ার অর্ডারও। ফলে আড়াইশর নিচে আটকে যায় মোহামেডান।
অঙ্কন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন ৮৫ বলে। ইমরুল ৯৬ বল খেলে তোলেন ৬৮ রান। অনুস্তুপের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৩০ রান। আরিফুল অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৩৭ রান। আবাহনীর হয়ে ২ উইকেট করে নেন তানভীর ও পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা আবাহনীর হয়ে এক প্রান্ত আগলে রাখেন নাঈম। অন্যপ্রান্তে বদল হতে থাকে সঙ্গী। আরেক ওপেনার আনামুল হক বিজয় ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মাহমুদুল হাসান জয় উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার পর মাঠ ছাড়েন। ভারতীয় ইন্দ্রজিত বাবা এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে দ্রুত ফেরেন। চতুর্থ উইকেটে আফিফের সঙ্গে ৯২ রানের গতিময় জুটিতে ম্যাচ মুঠোয় আনেন নাঈম। এরপর মোসাদ্দেককে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটিতে বাকিটা সারেন তিনি।
২৩ বছর বয়সী নাঈম আগের দুই ম্যাচেও পেয়েছিলেন রান। প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৭৪ বলে ৮৫ রান করেন তিনি। পরের ম্যাচে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলেন ৪৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।
Comments