বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল বানাতে চান সাকিব
আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্মদিন। এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল 'সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন'। দেশের সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করা হবে এই ফাউন্ডেশন থেকে। তবে এখানেই থেমে থাকতে চান সাকিব। গড়তে চান বিশ্ব মানের একটি ক্যান্সার হাসপাতালও।
এদিন রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন সাকিব। স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন সাকিব। তারসঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ও ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। সাকিবের ফাউন্ডেশনকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন বিসিবি প্রধান।
মানবিক কাজে যুক্ত হওয়া অবশ্য নতুন কিছু নয় সাকিবের জন্য। এর আগে করোনা কালীন সময়ে অনেক প্রশংসনীয় কাজ করেছে 'দ্য সাকিব আল ফাউন্ডেশন'। এবার ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে থাকার জন্য গড়লেন আরও একটি ফাউন্ডেশন। শুরুর দিকে ওষুধের জোগান পেতে সহযোগিতা করবে তারা।
অনুষ্ঠানে নিজের উদ্দেশ্য জানিয়ে সাকিব বলেন, 'ক্যান্সারকে সবাই মরণব্যাধি বলে। তবে এর ভয়ে পিছিয়ে থাকলে তো চলবে না। আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, মানুষকে সাহস দিতে হবে, দেখাতে হবে আশা। আমরা সবাই মিলে সেই কাজটি করতে চাই। যত ক্ষুদ্র পর্যায়ে থেকেই হোক না কেন। সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন এইসব মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যান্সারের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়ার, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যান্সার ডায়াগনোসিস করার।'
'আমরা যদি একজন, একশ জন বা এক হাজার জন মানুষকেও সাহায্য করতে পারি, সেটিই আমাদের জন্য বড় অর্জন হবে। আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটা ক্যান্সার হাসপাতাল করার। যেখানে পরিপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার সকল সুবিধা থাকবে। তবে একদমই কম খরচে। মানুষ যে হাসপাতালে এসে হাসি মুখে বাড়ি ফিরবে। গর্ব করে বলবে, বাংলাদেশেও এমন একটি হাসপাতাল আছে। স্বপ্নটা বিশাল। হয়তো এখনই সম্ভব নয়। তবে একদিন নিশ্চিত হবে,' যোগ করেন সাকিব।
তবে এর আগে সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চান এ অলরাউন্ডার, 'একটা ডায়াগনোসিস সেন্টার করতে চাই। তারও আগে চাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে। আমার কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, অনেক আর্লি স্টেজে যদি এটা ধরা পড়ে কিংবা শুরুতেই ডায়াগনোসিস করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় এখন অনেক ভালো চিকিৎসা আছে। যার মাধ্যমে মানুষ অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে।'
Comments