এই সিরিজের পর বাবর-রিজওয়ান প্রাপ্য সম্মান পাবে: শাদাব
'ঘরোয়া ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেট ১৩৫ বা এর বেশি যদি না থাকে, তাহলে সেই ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাবে না,' প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েই এমন হুঙ্কার দিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। তিনি দায়িত্ব ছাড়লেও তার পথেই হাঁটেন নতুন প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রায় সাড়ে তিন হাজার রান করলে ফেললেও স্ট্রাইক রেট ১২৭.৮০ বাবর আজমের। আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের তো আরও কম। ১২৬.৬২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। স্ট্রাইক রেট কম হলেও রানের ফোয়ারা নিয়মিত ছোটান এ দুই ব্যাটার। কিন্তু ওই স্ট্রাইক রেটের জন্য নিয়মিতই সমালোচিত তারা।
চলতি আফগানিস্তান সিরিজে এবার বিশ্রামের অজুহাতে দলের বাইরে রাখা হয় বাবর ও রিজওয়ানকে। তাদের পরিবর্তে পিএসএলে যারা আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন তাদের বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু দুই ম্যাচেই হতাশ করে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৯২ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তারা তুলেছে ১৩০ রান। ফলাফল, দুই ম্যাচেই হেরেছে তারা।
আরব আমিরাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খুইয়েছে পাকিস্তান। শঙ্কা এখন হোয়াইটওয়াশ হওয়ার। আগের দিন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাত উইকেটে হারের পর এক রাশ হতাশা ঝড়ে অধিনায়ক শাদাব খানের কণ্ঠে।
'বাবর ও রিজওয়ান পারফর্ম করুক বা না করুক মানুষজন তাদের সমালোচনা করবেই। তাদের ওপর স্ট্রাইক রেটের খড়গ সবসময় ঝুলে থাকে। একটি জাতি হিসাবে, আমরা চেয়েছিলাম তরুণরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসুক, যেমন তারা পিএসএলে পারফর্ম করছে, তাই আমরা ভেবেছিলাম তারা আরও ভালো স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেলবে,' বলেন শাদাব।
এবার পাকিস্তানিরা বাবর-রিজওয়ানের মূল্য বুঝতে পারবেন দাবি করে আরও বলেন, 'কিন্তু অবশেষে, আমাদের জাতি বুঝতে পারছে যে অভিজ্ঞতা কতো গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের সিনিয়ররা তাদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে তাদের প্রাপ্য সম্মান পাননি। তাই এই সিরিজের পর তারা মিডিয়া ও জাতির কাছ থেকে অনেক বেশি সম্মান পাবেন।'
Comments