'পিটুনি' খেয়ে পেস ছেড়ে স্পিন বোলিংয়ে মৃত্যুঞ্জয়
পেসার হিসেবে পরিচিত হলেও মাঝেমধ্যেই স্পিন বল করে থাকেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। হাঁটুর সমস্যার কারণে এমনটা করে থাকেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক। এদিন তার মতো পেস ছেড়ে স্পিন বল করতে দেখা গেল মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে। 'বেদম পিটুনি' খেয়েই এমনটা করেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এ তরুণ।
আগের দিনই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সুসংবাদটা পেয়েছেন পেসার মৃত্যুঞ্জয়। তবে ঠিক পরদিনটাই বিবর্ণ কাটল তার। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি। ৯ ওভার বল করে ৬৯ রান খরচ করে পেয়েছেন ২টি উইকেট।
এদিন ইনিংসের অষ্টম ওভারে বল হাতে আসেন মৃত্যুঞ্জয়। প্রথম বলটাই করেন ওয়াইড। যদিও শেষ বলে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট তুলে নেন। পরের ওভারে ২টি বাউন্ডারিতে দেন ১৩ রান। এরপর পরের ওভারেও হজম করেন দুটি বাউন্ডারি।
এরপর ফের ২২তম ওভারে তাকে বোলিংয়ে আনেন শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবারও। সে ওভারে ২টি ওয়াইড বল করেন। এরপর ৩৬তম ওভারে বোলিং আসেন। এবারও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। পাঁচ ওভারে তার খরচ তখন ৩৮ রান।
এরপর ইনিংসের ৩৮তম ওভারে নিজের ষষ্ঠ ওভারে শর্ট রানআপে স্পিন বোলিং শুরু করেন মৃত্যুঞ্জয়। অবশ্য এবার খারাপ করেননি। ৪ রান দেন তিনি। পরের ওভারেও স্পিন বোলিং শুরু করেন। তিন বল দেন ১টি রান। কিন্তু চতুর্থ বল থেকে ফের পেস বোলিং করতে থাকেন। শেষ তিন বলে একটি বাউন্ডারি সহ খরচ ৫ রান।
মজার ব্যাপার পেস বোলিংয়ের চেয়ে স্পিন বোলিংটাই ভালো করেছেন মৃত্যুঞ্জয়। ৯ বলে করে দিয়েছেন ৫ রান। যেখানে পেস বোলিংয়ে ৪৫ বলে দিয়েছেন ৬৪ রান।
মৃত্যুঞ্জয়ের দিন বাজে গেলেও তার দল শেখ জামাল দারুণ দিন কাটিয়েছে। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো আবাহনীকে হারের স্বাদ দিয়েছে তারা। ৪ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দলটি।
Comments