ক্রিকেট প্রেম থেকে ওয়ার্নারদের ব্যাট চুরি করেছিলেন ট্রাক চালক!

বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ। এত সুন্দর ব্যবস্থাপনার মধ্যে কীভাবে ক্রিকেটারদের কিট ব্যাগ থেকে সরঞ্জাম চুরি হয়ে যায়, সেই কূল কিনারা করতে পারছিল না তারা। শেষ পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে সব সুরাহা ও উদ্ধার হওয়ার পর অপরাধীদের ভাষ্যও বেশ অবাক করছে।
গত ১৫ এপ্রিল বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি ফিরে ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শরা আবিষ্কার করেন তাদের বেশ কয়েকটি ব্যাগ, প্যাড, গ্লাভস ও নানা সরঞ্জাম খোয়া গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর শুরু হয় তদন্ত।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, চুরিটা হোটেল বা বিমানবন্দরে হয়নি। অর্থাৎ বিমানবন্দর ও হোটেলের মাঝামাঝি কোথাও ঘটেছে ঘটনা। মূলত বিমানবন্দর থেকে খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম বহনকারী ট্রাক চালক ও তার সহকারি ঘটান এই কাণ্ড। ৩০ বছর বয়সী ট্রাকচালক এম চেলুভারাজু ও তার সহকারী ৩০ বছর বয়সী সুদানশু কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসে বিস্তারিত।
ইন্ডিয়া টুডে তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে ফেরার পথে একটা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে তারা ব্যাগ খুলে জিনিসপত্র বের করে নেন এই দুজন। তবে এসব চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া নয় নিজেরাই খেলার জন্য ব্যবহার করতেন বলে জানান তারা, 'আমরা ক্রিকেট খেলি নিয়মিত। প্রথমে পরিকল্পনা করি ব্যাট চুরি করব, ব্যাগ খুলে দেখি ব্যবহার করতে পারি এমন অনেক কিছুই আছে। এসব আমরা বিক্রির জন্য চুরি করিনি, খেলব বলে করেছিলাম।'
চুরি করা ব্যাট যে বিখ্যাত তারকা ওয়ার্নার, মার্শদের ব্যবহৃত তাও জানতেন না তারা। ক্রিকেটপ্রেম থেকে আর যাইহোক চুরি তো আর অনুমোদন করা যায় না। তাই দুজনই আপাতত আছেন হাজতঘরে।
দিল্লি পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা সরঞ্জামের মধ্যে আছে ১২টি ব্যাট, ১৮টি বল, চার জোড়া গ্লাভস, দুটি হেলমেট, তিন জোড়া পায়ের প্যাড, দুই জোড়া থাই প্যাড, একটি অ্যাবডমিনাল গার্ড ও একটি ব্যাগ। সব মিলিয়ে এসব সরঞ্জামের মূল্য ১৬ লাখ রুপি।
উদ্ধার হলেও ব্যাট-প্যাড এখনো বুঝে পাননি ওয়ার্নাররা। যেহেতু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেই কারণে আদলতের আনুষ্ঠানিকতার পর জিনিস বুঝে পাবেন ক্রিকেটাররা।
আইপিএলে দলগুলোর খেলোয়াড়দের কিট ব্যাগ, বড় লাগের এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করে একটি লজিস্টিক কোম্পানি। কোন একটি ম্যাচের পর ক্রিকেটাররা নিজেদের কক্ষের বাইরে রেখে দেন কিট ব্যাগ, বড় লাগের। লজিস্টিক কোম্পানি অন্য ভেন্যুতে নিয়ে গিয়ে ফের নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের কক্ষের বাইরে আবার তা রেখে যায়। এবারও তেমনটিই হয়েছিল। তবে পথের মাঝে ঘটেছে চুরির এই ঘটনা।
Comments