লিটনের বদলিও ব্যর্থ, হারের চক্রে দিশেহারা নাইট রাইডার্স

এক ম্যাচ খেলিয়ে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশে রেখেছিল ডেভিড ভিজেকে। নামিবিয়ান এই অলরাউন্ডার হয়েছেন চরম ব্যর্থ। বিদেশি আরও দুই তারকা সুনিল নারাইন আর আন্দ্রে রাসেল দূর করতে পারেননি তাদের দুর্দশা। ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে হিসেব মেলাতে পারেনি নাইট রাইডার্স।
রোববার ইডেন গার্ডেন্সে স্বাগতিকদের ৪৯ রানে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে মাহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই। আগে ব্যাট করে ডেভন কনওয়ে, আজিঙ্কা রাহানে আর শিভম দুভের ফিফটিতে রেকর্ড ২৩৫ রান করে চেন্নাই। ইডেনের মাঠে যা আইপিএলে সর্বোচ্চ। জবাবে জেসন রয় আর রিঙ্কু সিংয়ের ফিফটিতে কুড়ি ওভার খেলে ১৮৬ পর্যন্ত যেতে পেরেছে নাইট রাইডার্স।
এদিন নিজেদের মাঠে কেবল নামমাত্র খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেনে পুরো গ্যালারি মূলত ছিল চেন্নাইর সমর্থনে ভরপুর। হলুদ জার্সি আর ধোনির নামে চিৎকার চলেছে ম্যাচ জুড়ে। তাতে চেন্নাইর ঝাঁজে তাল হারিয়ে ডুবেছে স্বাগতিক দল।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের এক নম্বরে উঠল চেন্নাই। সমান ম্যাচে পাঁচ হারে আটে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পাঁচ হারের মধ্যে সর্বশেষ চার ম্যাচের সবগুলো হেরেছে তারা।
গত বৃহস্পতিবার আগের ম্যাচে বাংলাদেশের তারকা লিটনকে নিয়ে নেমেছিল তারা। আইপিএল অভিষেকে লিটন ব্যাট হাতে করেন কেবল ৪ রান, কিপিংয়ে স্টাম্পিং মিস করেন। খারাপ পারফরম্যান্সে এক ম্যাচ খেলেই বাদ পড়তে হয় তাকে।
এদিন লিটনের বদলে নেওয়া ভিজে ৩ ওভার বল করে দেন ৩৮ রান। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২ বলে করেন স্রেফ ১ রান। দলটির বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র সফল ইংলিশ ব্যাটার রয়। চোটের কারণে পাঁচে নেমে ২৬ বলে ৫ চার, ৫ ছক্কায় করেন ৬১ রান। রিঙ্কু সিং তার ছন্দ ধরে রেখে ৩৩ বলে ৫৩ করলে হারের ব্যবধানই কেবল কমেছে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া চেন্নাই উড়ন্ত শুরু পায় কনওয়ে আর রতুরাজ গায়কোয়াড়ের ঝড়ে। ৪৫ বলের ওপেনিং জুটিতে ৭৩ তুলেন তারা। ২০ বলে ৩৫ করেন থামেন রতুরাজ। দুর্দান্ত ছন্দ টেনে ৪০ বলে ৫৬ করেন কনওয়ে।
তবে দলকে চূড়ায় তুলতে কাজের কাজ করেছেন রাহানে আর দুভে। এবার আইপিএলে ভিন্ন মেজাজ নিয়ে নামা রাহানে ২৯ বলের উপস্থিতিতে ৬ চার, ৫ ছক্কায় করেন ৭১ রান। বাঁহাতি দুভে ২১ বলে ২ চার ৫ ছক্কায় করেন ৫০ রান। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজাও ৮ বলে ১৮ করলে রেকর্ড রান জড়ো করে জেতার অর্ধেক কাজ সেরে ফেলে চেন্নাই।
Comments