মুশফিকের ব্যাটেই আশা বাংলাদেশের

চাপের মুখে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ছন্দে ফিরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এদিন সেই অভিজ্ঞ ব্যাটারই বাংলাদেশের ভরসা। উইকেটে সেট হয়েও একের পর এক ব্যাটাররা যখন সাজঘরে গিয়েছেন সেখানে থিতু হয়ে বাংলাদেশের আশা হয়ে টিকে আছেন মুশফিক।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান করেছে বাংলাদেশ। দুই সেট ব্যাটার মুশফিক ৪১ ও তাইজুল ইসলাম ০ রানে উইকেটে রয়েছেন।
অবশ্য ব্যক্তিগত ১৯ রানে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে পয়েন্টে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু কিছুটা নিচু হয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি হ্যারি টেক্টর। এরপর অবশ্য সাবলীলভাবেই খেলে যাচ্ছেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
দলীয় ১৮৭ রানে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। জর্জ ডকরেলের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টপএজ হয়ে ধরা পড়েছেন স্টিফেন ডহেনির হাতে। ৩৪ বলে ২৭ রান করেন মিরাজ। এরপর মুশফিককে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম।
এর আগে এদিন ইনিংসের শুরুতে রানের খাতা খোলার আগে নিজের প্রথম বলে আউট হয়েছেন লিটন। জস লিটলের ইয়র্কারে ব্যাট নামিয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে আগেই আঘাত হানে তার বুটে। আইরিশদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেননি তিনি। এই গোল্ডেন ডাকে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দশম বারের মতো শূন্য রানে আউট হন লিটন।
আরেক ওপেনার তামিমের শুরুটা ছিল ভালোই। দারুণ দুটি বাউন্ডারিও আসে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফিরেছেন মার্ক অ্যাডাইরের বলে। অফস্টাম্পের বেশ বাইরে থাকা বলে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু ব্যাটের কানায় চলে যায় উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে। যদিও আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। তবে সফল রিভিউতে তাকে ফেরায় আইরিশরা।
দলীয় ১৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব। ৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। উইকেটে নেমেই খেলতে থাকেন টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। দারুণ কিছু শটে আদায় করে নেন বাউন্ডারিও। তবে ব্যক্তিগত ২০ রানে গ্রাহাম হিউমের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফের চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।
সাকিবের বিদায়ের পর তরুণ তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। অসাধারণ কিছু শটে গড়েন ৫০ রানের জুটিও। তবে দলীয় শতরান তুলে নেওয়ার পর কার্টিস ক্যাম্পারের বলে পুল করতে গিয়ে মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে ধরা পড়েন মিড উইকেটে। ফিফটির সম্ভাবনা জাগানো ইনিংসটি থামে ৪৪ রানে। ৬৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি চারে।
এরপর স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ করতেই ফিরে যান হৃদয়ও। গ্রাহাম হিউমের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার খেসারৎ দেন তিনি। তার ফুল লেংথ বলটি ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে। অবশ্য ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক। ৩১ বলে ২৭ রান করেন এ তরুণ।
Comments