জীবন পেয়ে ৯ ইনিংস পর তামিমের ফিফটি

অ্যান্ড্রু বালবার্নি সহজ ক্যাচটা নিতে পারলে এদিনও ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হতো তামিম ইকবালকে। রান খরায় থাকা বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক জীবন পেয়ে ক্রিজ আঁকড়ে থেকে তা কাজে লাগালেন। ৯ ইনিংস পর ওয়ানডেতে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি।
রোববার চেমসফোর্ডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের চোটে সুযোগ পাওয়া অভিষিক্ত রনি তালুকদারকে নিয়ে ওপেন করতে নামেন তামিম। ৬১ বলে ফিফটি স্পর্শ করে তামিম ৮২ বলে আউট হন ৬৯ রান করে।
নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৪৯ ও লিটনের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি আসে তামিমের। ওপেন থেকে চারে নেমে লিটন খেলছিলেন অনায়াসে। দ্রুত রান আনলেও ফিফটির আগে বাজে শটে থামেন তিনি। ৩৯ বলে ৩৫ করা লিটন ফেরেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের শিকার হয়ে।
১ রানে জীবন পান তামিম। জস লিটলের বলে স্লিপে তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন বালবার্নি। জীবন পেয়ে পরের বলেই বাউন্ডারি মারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অভিষিক্ত রনি শুরু থেকে কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন। মুভমেন্টের বিপক্ষে ব্যাট চালিয়ে রানের খাতা খুলতে দেরি হচ্ছিল তার। মুখোমুখি ১৩তম বলে মার্ক অ্যাডায়ারকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে পান বাউন্ডারি। ওয়ানডেতে রানের খাতা খুলেই থেমেছেন তিনি। পরের বলের মুভমেন্ট না বুঝে এগিয়ে এসে উড়াতে গিয়ে ধরা দেন কিপারের গ্লাভসে।
তিনে নামা শান্ত এদিনও ছিলেন চনমনে। এক পাশে তামিমের ভোগান্তির মাঝে স্ট্রাইক নিয়ে দলের রান বাড়ানোর দায়িত্ব। দ্রুতই থিতু হয়ে আভাস দিচ্ছিলেন আরেকটি বড় ইনিংসের। কিন্তু ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে আউট সাইড এজড হয়ে তার ক্যাচ যায় স্লিপে। এবার বা দিকে ঝাঁপিয়ে তুলনামূলক কঠিন ক্যাচ হাতে জমান বালবার্নি। ৩২ বলে ৩৫ করে থামেন শান্ত।
সাকিব আল হাসান না থাকায় ওপেনিং ছেড়ে চান নম্বরে নামার দায়িত্ব নিতে হয় লিটনকে। নতুন ভূমিকাতেও তাকে দেখা যায় সাবলীল। দ্রুতই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে থিতু হয়ে যান তিনি। ট্রেড মার্কে শটে আদায় করে নেন বাউন্ডারি। ঝলমলে ইনিংসটা পূর্ণতা দিতে পারেননি লিটন। ৩ চার, ১ ছক্কায় থামেন ৩৫ রান করে।
তামিম সংগ্রামী ফিফটি করে ইনিংস টানছিলেন। পুরো ইনিংস জুড়ে অস্বস্তি দেখা যাচ্ছিল স্পষ্ট। বারবার পরাস্ত হয়েই টিকে গিয়েছিলেন। তবে তিন অঙ্কের আর দেখা পাননি। জর্জ ডকরেলের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দেন শর্ট থার্ড ম্যানে। তামিমের আগেই আউট হয়ে যান তাওহিদ হৃদয়। ১৬ বলে ১৩ রান করে ডকরেলের বলে বোল্ড হন তিনি।
বিপদে পড়া দলকে টেনে নিতে জুটি বাধেন মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৩।
Comments