এখন ‘মাইন্ড ট্রেনার’, পরে মনোবিদ কাজ করবেন বাংলাদেশ দলে

Bangladesh Cricket Team
অনুশীলনে বাংলাদেশ দল। অনুশীলনে নামার আগে মাইন্ড ট্রেনিং করেন ক্রিকেটাররা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

আগামী দুই সপ্তাহ ব্যাট বলের ক্রিকেটের পাশাপাশি স্থির হয়ে মনের জোরও বাড়াবেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তাদের সেই কাজে সাহায্য করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে এসেছেন 'মাইন্ড ট্রেনার' অ্যালান ব্রাউন।

স্কটিশ বংশোদ্ভূত অস্টেলিয় নাগরিক বাংলাদেশে কাজ পেয়েছেন মূলত হাথুরুসিংহের সূত্রে। শনিবার রাতে বাংলাদেশে এসে রোববার সকালেই আসেন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে শুরু করেন কাজ। দুপুর ২টা থেকে স্কিল অনুশীলনের আগে মাইন্ড ট্রেনিং করেছেন লিটন দাস, তামিম ইকবালরা।

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার নাফীস গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে জানান বিস্তারিত, 'আজকে থেকে ব্রাউন কাজ করা শুরু করেছে। উনি প্রথম ধাপে দুই সপ্তাহ কাজ করবেন শারীরিকভাবে। যদিও উনার অনলাইন কাজগুলো বেশ আগে থেকে শুরু হয়েছে।'

'মূলত উনার কাজ যেটা সেটা হচ্ছে একটা দলের ইনভায়রনমেন্টে ব্যক্তিগতভাবে প্লেয়ারের যে কোয়ালেটি থাকে। আমরা সবাই আলাদা, প্রতিটি প্লেয়ারের ব্যক্তিগত কিছু দক্ষতা আছে, তো এগুলোকে কীভাবে দলের ইনভায়রনমেন্টে কাজে লাগানো যায় ওটা নিয়ে কাজ করছেন উনি।'

ব্রাউনের পর অগাস্টে মনোবিদ হিসেবে ফিল জোন্সি। নাফীস বোঝালেন মনোবিদ ও মাইন্ড ট্রেনারের তফাৎ, 'অনেক সময় আমরা যেটা করে ফেলি, ক্লাসিক্যালি স্পোর্টস সায়কোলোজিস্টের সঙ্গে প্রশ্ন থাকতে পারে পার্থক্য কী। স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট ব্যক্তিগত সমস্যা ও সমাধান নিয়ে কাজ করে। অ্যালান ব্রাউন একটা প্লেয়ারের কোয়ালেটি কীভাবে দলের এনভায়রমেন্টে কাজে লাগানো যায়।'

'আগস্টে যিনি আসবেন, উনি ক্লাসিকাল সাইকোলোজিস্ট। আগেও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করছেন, ডক্টর ফিল। উনি খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত বিষয়ে কাজ করবেন।'

দুই সপ্তাহ সরাসরি বাংলাদেশে থেকে কাজ করার পর অনলাইনে পর্যবেক্ষণ চালু রাখবেন অ্যালান। নাফীসের মতে এতে উপকৃত হবেন ক্রিকেটাররা, 'উনি স্ট্রেন্থ বেস ট্রেনার। উনার এসপেক্ট দলের এনভায়রনমেন্ট নিয়ে কাজ করা। ক্রিকেটে এই কনসেপ্ট খুবই নতুন। মূলত এটা কর্পোরেট, ইদানীং আমেরিকাতে শুরু হয়েছে। ওখানকার ফুটবল, বেসবল, আইস হকি টিমে ৫০-৬০ জন প্লেয়ার্স মেম্বার থাকে। যখন এতজন থাকে, কীভাবে যার যার জায়গা থেকে দলের পরিস্থিতিতে অবদান রাখতে পারে; ওখানে মেথডটা টেস্টেড। আমাদের যেহেতু ক্রিকেটে তিনটা ফরম্যাট, ২৫-৩০ জন মেম্বার ইনভলব গড়ে। কীভাবে দলের এনভায়রমেন্টকে ভালোভাবে সাপোর্ট দিতে পারে। ওই কারণে এটা করা।'

Comments

The Daily Star  | English
rooppur-nuclear-power-plant

Gridline woes delay Rooppur Power Plant launch

The issue was highlighted during an International Atomic Energy Agency (IAEA) inspection in March

4h ago