অশ্বিনকে একাদশে না রাখায় রোহিতের তীব্র সমালোচনা

Ravichandran Ashwin
একাদশে না থাকায় পানি টানার দায়িত্ব ছিল টেস্টের এক নম্বর বোলার অশ্বিনের।

বর্তমানে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ বোলার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। অথচ তারই কিনা ঠাঁই হলো না বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের একাদশে। সমন্বয়ের কথা বলে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এর কারণ ব্যাখ্যা করলেও সাবেক ক্রিকেটাররা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন।

বুধবার ওভালে শুরু হওয়া ফাইনালে চার পেসার ও এক বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজায় ভারত। তবে প্রথম দিনে তাদের হতাশ করে ৩ উইকেটে ৩২৭ রান তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।

টসের সময় একাদশ জানাতে গিয়ে অশ্বিনকে একাদশে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন রোহিত,  'অশ্বিনকে বাইরে রাখা কঠিন ছিল। সে আমাদের জন্য ম্যাচ উইনার। তাকে বাইরে রাখা সেরা সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু আপনাকে দলের কথা ভেবে কন্ডিশন অনুযায়ী সেরা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'

কি হলে কি হতে পারত, এই টোনে কথা বললে অনেকেই পেছনের হাঁটার বদনাম দেন। তবে সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি তবু স্পষ্ট ভাষায় অশ্বিনের মতন স্পিনারকে বাইরে রাখা মানতে পারছেন না, 'হয়ত মনে হতে পারে এটা পশ্চাতচিন্তা। কিন্তু আমি তা মনে করি না। অধিনায়ক হিসেবে টসের আগে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, ভারত চার পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা হয়ত গত কয়েক বছর চার পেসার নিয়ে  কিছু সাফল্য পেয়েছে, তারা টেস্ট জিতেছে। সব অধিনায়কই ভিন্ন, আমি যদি অধিনায়ক থাকতাম তাহলে অশ্বিনের মানের স্পিনারকে একাদশের বাইরে রাখা কঠিন হতো।'

অস্ট্রেলিয়ার একাদশে প্রথম সাত ব্যাটারের মধ্যে চারজনই বাঁহাতি। সাধারণত বাঁহাতিদের বিপক্ষে অফ স্পিনাররা সফল হন বেশি। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক এই ম্যাচআপ থাকার পরও অশ্বিনকে একাদশে না রাখায় রীতিমতো বিস্মিত,  'অশ্বিনকে বাইরে রাখার কারণ ভেবে আমি অবাক, অস্ট্রেলিয়ার অনেক বাঁহাতি ব্যাটার। কোন সন্দেহ নেই অশ্বিন এই টেস্টে জাদেজার চেয়ে ভালো করত।' 

একই মত আরেক সাবেক ভারতীয় তারকা ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের। ওভালের কন্ডিশনে অশ্বিন বেশি কার্যকর হতেন বলে মনে করেন তিনি,  'অনেক কারণেই অশ্বিনকে খেলানো ভালো সিদ্ধান্ত হতো। সে খেললে ব্যাটিং গভীরতাও বাড়ত।। অশ্বিন এই কন্ডিশনে ভালো খেলত।'

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

3h ago