চার পেসারও খেলাতে পারি: হাথুরুসিংহে
ম্যাচের আগের দিনও উইকেটে দেখা মিলছে বেশ খানিকটা ঘাস। গত কদিনের বৃষ্টিতে ঘাসগুলোও সতেজ। ম্যাচ চলাকালীনও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় কন্ডিশনে গতিময় বোলারদেরই প্রাধান্য থাকার কথা। বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানালেন, এই পরিস্থিতিতে তিন পেসার তো বটেই। চারজনও খেলাতে পারেন তারা।
এক সময় ঘরের মাঠে কোন পেসার ছাড়াই টেস্ট খেলতে নামত বাংলাদেশ। জেতার রাস্তা খুঁজত টার্নিং উইকেট বানিয়ে। কিন্তু দেশের বাইরে গেলেই আবার পড়তে হতো ভোগান্তিতে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই বাস্তবতা বদলে গেছে। এক ঝাঁক পেসার উঠে আসায় এখন গতিময় বোলারদের উপর ভর করেই এগুনো যাচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের জন্য স্কোয়াডেই তাই পাঁচ পেসারকে রেখেছেন নির্বাচকরা।
মঙ্গলবার দলের অনুশীলনের আগে গণমাধ্যমে হাজির হয়ে হাথুরুসিংহে জাতীয় দল ও আশেপাশে থাকা পেসারদের নিয়ে দেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া, 'অবশ্যই আমরা সবাই দেখছি এখন সাত, আটজন আছে (পেসার) যাদের যেকোনো সময় নিতে পারি। পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে আগেও যারা কাজ করেছে এইচপিতে বা বাংলাদেশ টাইগার্সে তারা খুবই ভালো কাজ করেছে। তারা ফুরফুরে আছে। তাদের নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী । কাল তিনজন বা চারজনও খেলাতে পারি, কে জানে। কাজেই তারা প্রস্তুত আছে।'
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চারজন স্পিনার নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ, একাদশে ছিলেন না কোন বিশেষজ্ঞ পেসার। ঘূর্ণি উইকেটে আফগানদের গেছে বড় ব্যবধানে হেরে পড়তে হয়েছিল বিব্রতকর অবস্থায়। এবার কৌশল একেবারে ভিন্ন।
প্রতিপক্ষের শক্তি, নিজেদের শক্তি সব বিবেচনায় করেই রাখা হয়েছে সবুজ উইকেট। তবে উইকেটে যে কেবল পেসারদের রসদ থাকবে তেমন নয়। হাথুরুসিংহে জানালেন ম্যাচ গড়ালে স্পিনাররাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন, 'গত কদিন বৃষ্টি হয়েছে এজন্যও সবুজ। আমি এখানে আগেও সবুজ উইকেট দেখেছি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবুজ উইকেট ছিল। আগের প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা ধরে বলছি আমাদের পেসার আছে। এজন্য তাদের এমন কন্ডিশন দিয়েছি। আমাদের ভালো স্পিনারও আছে।'
'এখন সবুজ উইকেট আছে, কিন্তু দেখেন অনেক গরমে উইকেট ভাঙতে পারে, তখন স্পিনাররা ভালো ভূমিকা নেবে। আমার মনে হয় উইকেট বেশ স্পোর্টিং। ব্যাটার, বোলার, পেসার সবার জন্য কিছু না কিছু থাকবে। ভালো লড়াই হবে।'
Comments