ওয়ানডে মেজাজে শান্তর দারুণ সেঞ্চুরি
হামজা হোটাকের বলটা সামনের দিকে ঠেলে দিয়েই ছুটে ৯৯ থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দৌড়ে ছুটে হেলমেট খুলে লাফ দিলেন, তার ব্যাটে পরিতৃপ্তির হাসি। যেভাবে ব্যাট করেছেন তাতে এই চওড়া হাসি বেশ মাননসই। সাদা বলে গত কয়েক মাস ধরে চলা দারুণ সুসময়টা লাল বলেও টেনে আনলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রিজে এসেছিলেন, দিনের শুরুর চ্যালেঞ্জটা পরে সাবলীল ব্যাটিংয়ে উড়িয়ে শান্ত ছুটতে থাকেন দুর্বার গতিতে। ওয়ানডে মেজাজে রান তুলে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন তিনি। ১১৮ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন শান্ত, যাতে ছিল দৃষ্টিনন্দন ১৯ চার।
লাঞ্চের আগে ফিফটি করেছিলেন ৫৮ বলে। লাঞ্চ থেকে ফিরে তার ব্যাট পেল আরও গতি। আফগান বোলারদের আলগা বলগুলো সীমানা ছাড়া করতে থাকলেন অনায়াসে। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে কিছুটা সতর্ক হয়েছেন, কোন রকম তাড়াহুড়ো না করেই পৌঁছেছেন মাইলফলকে।
টেস্টে এর আগে দুটি সেঞ্চুরি ছিল শান্তর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রান করেছিলেন অনেক সময় নিয়ে। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে সেঞ্চুরি পান ১০৯ বলে। এবার এক পর্যায়ে নিজের দ্রুততম সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন।
এদিন সেঞ্চুরির পথে বাউন্ডারির দিকে বেশি ঝুঁকেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে আগ্রাসী হতে গিয়ে খুব একটা ঝুঁকিও নিতে হয়নি তাকে। প্রথাগত ঘরানার শটেই পেয়েছেন রান। তার চনমনে উপস্থিতিতে ফিল্ডিং পজিশন নিয়ে সংকটে পড়ে যান হাসমতুল্লাহ শহিদি। বারবার উল্টোপালট করেও লাভ হচ্ছিল না, ফাঁকা জায়গা খুঁজে নিতে একদম বেগ পেতে হয়নি শান্তর।
শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশও আছে শক্ত অবস্থায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চা-বিরতির পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৩৫ রান। শান্তর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ২৬৭ বলে ২১২ রানের জুটির পর ফিরে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ১৩২ বলে ৭১ করা জয় অনিয়মিত লেগ স্পিনার রহমাত শাহর বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে থামেন। প্রথম সেশনে ২৪ ওভারে ১ উইকেটে ১১৬ রানের পর দ্বিতীয় সেশনে ২৫ ওভারে ১১৯ রান যোগ করেছে লিটন দাসের দল।
Comments