‘বাংলাদেশ বেশি ভালো খেলেছে’, বললেন হতাশ আফগান কোচ

আফগান ব্যাটারদের মাথা নিচু করা ছিল এই টেস্টে নিয়মিত দৃশ্য। ছবি: স্টার

ব্যর্থতার টানা ক্লান্তিকর ব্যাখ্যায় দিতে কারই বা ভালো লাগে? জোনাথন ট্রটেরও ভালো লাগার কথা না। এই টেস্টে টানা পাঁচদিন অনেকটা বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসার বিরক্তিও যেন ধরা পড়ল তার চোখেমুখে। পরে ব্যাখ্যায় যা জানালেন তাতে বাংলাদেশেরই স্তুতি বেশি।

আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ দল তখন উৎসব করছে। ট্রফি নিয়ে তাদের ফটোসেশনের ছবি নিতে ব্যস্ত গণমাধ্যম কর্মীরা। আফগান দলের দিকে আর কে নজর দিবে? সংবাদ সম্মেলনে এসে হাতেগোনা কজন সাংবাদিক দেখে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করতে অনুরোধ করলেন ট্রট। কয়েক মিনিট পর আরও কজন যুক্ত হতে শুরু হলো প্রশ্ন উত্তর পর্ব।

এই টেস্ট পাঁচদিনে না গেলেও ট্রট একদিক থেকে পাঁচ দিনের আমেজ দিলেন।  টেস্টের আগেরদিন ও টেস্টের প্রথম তিনদিন মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টানা পঞ্চম উপস্থিতি তার। প্রথম দিন ছাড়া প্রতিদিনই দিতে হয়েছে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা।

এবারও আলাদা কিছু নয়। ৮৯ বছরের ইতিহাসে টেস্ট সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়া বাংলাদেশের সামনে যেন কৈশোর পেরুনো অপরিপক্ব আফগানরা।

ট্রট জানালেন লম্বা সময় টেস্ট না খেলার অনভ্যাসে এই পরিণতি তাদের, 'অবশ্যই অনেক হতাশাজনক। একদম শুরু থেকেই আমরা ভালো খেলতে পারিনি। প্রায় ২৭ মাস কোনো টেস্ট খেলিনি আমরা। ক্রিকেটাররা ৪ দিন আগে আসে এখানে। টেস্ট ম্যাচের জন্য যথার্থ প্রস্তুতি নিতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আরও ভালো কিছু করতে হতো। সব কিছু মিলিয়েই হতাশাজনক। হয়তো কিছু ভালো পারফরম্যান্স ছিল আমাদের। তবে তা যথেষ্ট ও ধারাবাহিক ছিল না।'

আফগানরা কোন ইনিংসেই পেরুতে পারেনি দেড়শো। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তারা করে ১১৫ রান। বাংলাদেশের ৩৮২ আর ৪২৫ রানের জবাবে যা খড়কুটো।

ব্যাটিং, বোলিং মিলিয়ে তাই স্বাগতিক দলের প্রশংসা ট্রটের,  'আমার মতে, এখানে বিষয়টি হলো প্রতিপক্ষ বেশি ভালো খেলেছে এবং নিজেদের কাজটি তারা ধারাবাহিকভাবে করে গেছে। লাইন-লেংথ ধরে রেখে টানা বোলিং করেছে। আমরাও সেই চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি।'

'তাদের ব্যাটসম্যানরা লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে... সবচেয়ে লম্বা ইনিংস ছিল সম্ভবত রহমত শাহর, ৭০ বলের (৭৩ বল)। এই ম্যাচে তাদের একজন ব্যাটসম্যান জোড়া সেঞ্চুরি করেছে। এটিও দেখিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে আসলে আদর্শ কী! আমার মতে, তাদের স্পিনাররাও ভালো করেছে। অন্য দিকে আমাদের স্পিনাররা নিখুঁত বোলিং করতে পারেনি।'

সবুজ উইকেট বানিয়ে এই টেস্টে পেস দিয়েই আফগানদের নাকাল করেছে বাংলাদেশ। বাড়তি বাউন্স, মুভমেন্ট আর নিখুঁত লেন্থে বিপর্যস্ত করেছে সফরকারীদের। তিন পেসার মিলিয়ে টেস্টে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ইংলিশ ট্রটও আলাদা করে প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের,  'আমার মতে, এটি (বাংলাদেশের পেস আক্রমণ) খুব ভালো। গতি আছে ভালো। এমন পেস আক্রমণ নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হবে। তাদের দারুণ স্পিনারও আছে, তারা জানে কীভাবে নিজেদের কন্ডিশন কাজে লাগাতে হয়। তো পুরো কৃতিত্ব তাদের।'

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

1h ago