খাওয়াজার সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ
সবাইকে অবাক করে দিয়ে টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৭৮ ওভার শেষেই অবাক করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রত্যাশা ছিল প্রথম দিনের শেষে কিছু উইকেট তুলে নেওয়া। সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হয় ভালো। ৬৭ রানেই তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। কিন্তু এরপর উসমান খাওয়াজার লড়াই। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এজবাস্টনে শনিবার অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে এখনও ৮২ রানে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। এদিন ৫ উইকেটে ৩১১ রান তুলে দিন শেষ করেছে অজিরা।
মূলত খাওয়াজার ব্যাটেই লড়াইটা জমিয়ে করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এ ব্যাটার। ১৯৯ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়া এ ব্যাটার ২৭৯ বলে ১২৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়েছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ট্রাভিস হেড ও আলেক্স ক্যারি। ফিফটি পেয়েছেন তারাও। হেড ৫০ রান করেন। ক্যারি অপরাজিত আছেন ৫২ রানে। তাতে লিডের স্বপ্ন দেখছে তারা।
এদিন দলীয় ৬৭ রানে তিন উইকেট হারানোর পর হেডের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়েন খাওয়াজা। হেডের বিদায়ের পর ক্যামেরুন গ্রিনের সঙ্গে ৭২ রানের আরও একটি জুটি গড়েন। আর ক্যারির সঙ্গে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটি।
দিনের শুরুতে অবশ্য বৃষ্টি বাগড়া দেয়। তাতে ৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয় খেলা। স্টুয়ার্ট ব্রডের তোপে দারুণ সূচনা পায় ইংলিশরা। ডেভিড ওয়ার্নারকে বোল্ড করে দেন তিনি। অবশ্য বাইরের বল টেনে আউট হন ওয়ার্নার। এ নিয়ে তাকে ১৫ বার আউট করেন ব্রড।
পরের বলেই আউট করেন মার্নাস লাবুশেনকে। অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে সুইং করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে ব্যাট চালিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ক্যাচ তুলে দেন উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান বর্তমান আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।
স্টিভেন স্মিথ অবশ্য সেট হয়েছিলেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৬ রানে বেন স্টোকসের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরান ইংলিশ অধিনায়ক।
এরপর শুরু খাওয়াজা ও হেডের প্রতিরোধ। খাওয়াজা দেখে খেললেও হেড খেলতে থাকেন আগ্রাসী ঢঙ্গে। এ জুটি ভাঙেন মঈন আলী। তার বলে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হেড। একই ওভারে ক্যামেরন গ্রিনকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলার সুযোগ হাতছাড়া করেন বেয়ারস্টো।
অবশ্য গ্রিনকে তুলে নিয়েছেন সেই মঈনই। তাকে বোল্ড করে ভাঙেন ৭২ রানের জুটি। এরপর ক্যারির সঙ্গে জুটি বেঁধে দিনটা শেষ করেন খাওয়াজা। অবশ্য দুই ব্যাটারই ফিরতে পারতেন আজই। ব্যক্তিগত ২৬ রানে জো রুটের বলে ব্যাটের কানায় লাগা ক্যারির ক্যাচ মিস করেন বেয়ারস্টো। আর নতুন বল নিয়ে প্রথম ডেলিভারিতে খাওয়াজার স্টাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন ব্রড। কিন্তু 'নো' বল হওয়ায় বেঁচে যান এই ব্যাটার।
Comments