ম্যাচ মুঠোতেই আছে ভেবে ব্যাট করেছেন কামিন্স

Pat Cummins
ছবি: আইসিসি

ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো, রোমাঞ্চের দোলাচল পেরিয়ে কারা জিতবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না। তবে দারুণ ইনিংসে ম্যাচ জেতানোর নায়ক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলছেন, সব সময়ই ম্যাচ মুঠোতে আছে ভেবে খেলে গেছেন তারা।

এজবাস্টনে এবারের অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচটাই হয়েছে টানটান উত্তেজনার। পঞ্চম দিনের একদম শেষ প্রান্তে গিয়ে দুই উইকেটে ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।

২৮১ রানের লক্ষ্যে ২২৭ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ কিছুটা হেলে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের দিকে। তবে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে সব শঙ্কা দূর করে বুনো উল্লাসে ছুটেন কামিন্সরা।

ম্যাচ শেষে অজি কাপ্তান জানান, উইকেট হারিয়ে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলেও ম্যাচের লাগাম হাতছাড়া হওয়ার অনুভূতি টের পাননি তারা,  'উইকেটে খুব একটা জুজু দেখছিলাম না, কাজেই ভালোই সুযোগ ছিল। মনে হচ্ছিল ম্যাচ আমাদের মুঠোতেই আছে।'

আক্রমণাত্মক ঘরানায় টেস্ট খেলে সাম্প্রতিক সময়ে আলোড়ন তোলা ইংল্যান্ড এই টেস্টেও ছিল একই রকম। তাদের 'বাজবল' ঘরানা এবার ধরাশায়ী হয়েছে অজিদের প্রথাগত ধরনের কাছে।

প্রথম দিনেই ৮ উইকেটে ৩৯৩ রান করে হুট করে ইনিংস ছেড়ে দিয়ে আলোচনার জন্ম দেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচ হারায় এবার হচ্ছে সমালোচনাও। দুই দলের দুই ধরণ নিয়ে অবশ্য কোন বিচারে যেতে চান না কামিন্স, মানুষের বিনোদন পাওয়ায় তার কাছে মুখ্য,   'দুই দলই নিজেদের ঘরানায় খেলেছে। আমরা আমাদের শক্তির জায়গা থেকে খেলেছি। আমরা জানি না কোনটা ভালো তবে এটা (ম্যাচ) সব মিলিয়ে বিনোদন দিয়েছে মানুষকে।'

কামিন্স শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতালেও পুরো ম্যাচে তাদের নায়ক উসমান খাওয়াজা। দুই ইনিংসেই দলের বিপদে হাল ধরেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৫ রান। ম্যাচ সেরাও তিনি। কামিন্স সতীর্থকে দিলেন আলাদা কৃতিত্ব,  'দুর্দান্ত খেলেছে সে (খাওয়াজা)। নিজের ধরণে খেলছে। গত কয়েক বছর ধরেই সে পারফর্ম করছে। সে ক্রিজে থাকলেও অন্যরাও পারফর্ম করে। ওর জন্য আমি খুশি। ও উইকেটটা পড়তে পেরেছিল।'

শেষ দিকে যখন স্টুয়ার্ট ব্রডদের একেকটি বল ছোবল হানছিল কামিন্সদের। আবার তা সামলে রানও বেরুচ্ছিল। এমন উত্তেজনার সময়ে ডাগ আউটে নখ কামড়াচ্ছিলেন খাওয়াজা। তার মতে এটাই অ্যাশেজে তার সেরা অভিজ্ঞতা,   'সত্যি কথা বলতে শেষ ম্যাচ মিনিটে দম আটকে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছিল। বুক ধড়ফড় করছিল। আমি ২০০৫ সালের অ্যাশেজ দেখেছি। ২০১৯ সালে স্টোকসির অবিশ্বাস্য ইনিংস দেখেছি। কিন্তু আমার কাছে এটাই প্রিয় ম্যাচ হয়ে থাকবে।'

তবে ম্যাচ হারলেও ঘাবড়ে যাচ্চে না ইংল্যান্ড। অধিনায়ক বেন স্টোকস পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে বলেছেন, একই ঘরানায় ক্রিকেট খেলে পরের টেস্টও রোমাঞ্চকর করতে চান তারা, 'পঞ্চম দিনে নিয়ে ম্যাচ এই পরিস্থিতিতে আনা গর্বের ব্যাপার। অনেক আবেগ খেলা করেছে, উত্থান-পতন ছিল। এটা আরও একটা টেস্ট যা ভুলতে চাইব না। আমরা চাই দর্শকরদের আসনে আটকে রাখতে চাই। আশা করি পরের টেস্টটাও এমন আকর্ষণীয় হবে'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago