উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ে বিশ্বকাপের দৌড়ে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে

নেদারল্যান্ডসের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হারাল জিম্বাবুয়ে।
ছবি: টুইটার

সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেল জিম্বাবুয়ে। সেটা তাড়ায় ঠিক কক্ষপথেই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে টেন্ডাই চাটারার তোপে পড়ে পা হড়কে গেল তাদের। মাত্র ৫৮ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে হেরে গেল তারা।

শনিবার হারারেতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নাটকীয় জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। 'এ' গ্রুপের ম্যাচে তারা ৩৫ রানে হারিয়েছে দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজকে। স্বাগতিকদের ৪৯.৫ ওভারে ২৬৮ রানের জবাবে ক্যারিবিয়ানরা ৩২ বল বাকি থাকতে থামে ২৩৩ রানে।

জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাছাইয়ের সুপার সিক্সে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তবে এই ম্যাচের ফল জিম্বাবুয়ের পক্ষে যাওয়ায় বিশ্বকাপের দৌড়ে তারা এগিয়ে গেল। কারণ গ্রুপপর্বের যেসব প্রতিপক্ষ সুপার সিক্সে অংশ নেবে, তাদের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে পাওয়া পয়েন্ট সুপার সিক্সে যুক্ত হবে।

৩ ম্যাচের সবকটিতে জেতায় জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট ৬। একই সংখ্যক ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অর্জন করেছে সমান ৪ পয়েন্ট। 'এ' গ্রুপ থেকে এই তিন দল উঠেছে সুপার সিক্সে। ছিটকে গেছে নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্র।

নেদারল্যান্ডসের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হারাল জিম্বাবুয়ে। ফলে তারা ৪ পয়েন্ট সঙ্গে করেই সুপার সিক্সে খেলবে। নেদারল্যান্ডস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের মধ্যে এখনও মুখোমুখি হয়নি। আগামী সোমবার হবে তাদের ম্যাচ।

বাছাইপর্বের 'বি' গ্রুপে সমান ৪ পয়েন্ট করে পেয়েছে শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড ও ওমান। আয়ারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নামের পাশে কোনো পয়েন্ট নেই। অর্থাৎ সুপার সিক্সে শ্রীলঙ্কাকে মোকাবিলা করা প্রায় নিশ্চিত জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেদারল্যান্ডসের। লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় পাওয়া বেশ কঠিন হবে তাদের সবার জন্যই।

সুপার সিক্সের পয়েন্ট তালিকার সেরা দুই দল উঠবে বাছাইয়ের ফাইনালে। উভয়েই আবার পেয়ে যাবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলার টিকিট। তারা সঙ্গী হবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও স্বাগতিক ভারতের।

জিম্বাবুয়ের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন রাজা। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা তারকা ফের দেখান অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে ৬৮ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলার পর ৮ ওভারে ৩৬ রানে তিনি নেন ২ উইকেট। অনুমিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে।

স্বাগতিকদের হয়ে ব্যাট হাতে আরও অবদান রাখেন রায়াল বার্ল (৫৭ বলে ৫০) ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন (৫৮ বলে ৪৭)। বল হাতে ৫২ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন চাটারা। ২ উইকেট করে নেন ব্লেসিং মুজারাবানি আর রিচার্ড এনগারাভাও।

ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে ৭২ বলে ৫৬ রান আসে কাইল মায়ার্সের ব্যাট থেকে। এছাড়া, নয় নম্বরে আউট হওয়া রোস্টন চেইস ৫৩ বলে ৪৪ রান ও নিকোলাস পুরান ৩৬ বলে ৩৪ রান করেন। বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিতে কিমো পল দেন ৬১ রান।

Comments