জিম্বাবুয়েকে শঙ্কায় ফেলে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা

১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। সেই দলটি এবার কি-না পারেনি সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে। খেলতে হয়েছে বাছাই পর্ব। তবে সেখান থেকে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের। গ্রুপ পর্বে দারুণ পারফর্ম করা দলটি ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ জিম্বাবুয়েকে ভারত বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা।

রোববার বুলাওয়েতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সুপার সিক্সের ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩২.২ ওভারে মাত্র ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ১০১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে লঙ্কান শিবির।

গ্রুপ পর্ব থেকে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়েই সুপার সিক্সে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই বিশ্বকাপে এক পা দিয়ে রেখেছিল তারা। এদিন জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত করল মূল পর্ব। চূড়ান্তপর্বে কোয়ালিফায়ার ১ হিসেবে খেলবে তারা।

এই হারে বেশ দুশ্চিন্তায় পরল জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের। একই সঙ্গে স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলও পক্ষে যেতে হবে তাদের। কারণ এখনও রানরেটে স্কটিশদের চেয়ে পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে। অথচ গ্রুপ পর্ব থেকে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়েই উঠেছিল দলটি।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩০ রানেই ৩টি উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর সিকান্দার রাজাকে সঙ্গে নিয়ে ৬৮ রানের জুটিতে সে চাপ সামলে নিয়েছিল তারা। তবে এ জুটি ভাঙার পর ফের নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ ৬টি উইকেট হারায় তারা মাত্র ৩৮ রানের ব্যবধানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন শন উইলিয়ামস।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২৫ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন মহেশ ঠিকসানা। ৩টি শিকার দিলশান মাধুশঙ্কার।

জবাবে পাথুম নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে জয় তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি শ্রীলঙ্কাকে। দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই গড়েন ১০১ রানের জুটি। এরপর বাকিটা কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে শেষ করেন নিশাঙ্কা। ১০২ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে খেলেন হার না মানা ১০১ রানের ইনিংস। এছাড়া করুনারত্নে ৩০ ও মেন্ডিস অপরাজিত ২৫ রান করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

1h ago