আফিফের উপর আস্থা রাখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/07/10/afif_hossain.jpg?itok=wtQREcLE×tamp=1689002242)
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের মাঝপথে বাদ পড়েছিলেন আফিফ হোসেন, ছিলেন না তাদের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজেও। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে ফিরে পান হারানো জায়গা। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখনো সামর্থ্যের ছাপ রাখতে পারেননি। যদিও এই তার উপর দ্রুতই আস্থা হারাতে চায় না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
আফগানদের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডেতেই একাদশে ছিলেন আফিফ। সাতে নেমে প্রথম ম্যাচে ৮ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন রশিদ খানের বলে। পরের ম্যাচেও তার হন্তারক রশিদ। এবার প্রথম বলেই গুগলি বুঝতে না পেরে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি।
দল থেকে বাদ পড়ার আগেও সাতে খেলেছিলেন তিনি। সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে এই পজিশনে ৮ বার বাট করে স্রেফ ৮.১২ গড়ে ৬৫ রান করতে পারেন আফিফ। দ্রুত রান তোলার পরিস্থিতিতে তার স্ট্রাইকরেট ৬৩.১০।
সাতে তাকে খেলিয়ে যাওয়া হবে নাকি অন্য কাউকে দেখা হবে এমন প্রশ্নে বল নির্বাচকদের দিকে ঠেলে দলেও তার প্রতি আস্থার কথাও জানিয়ে রাখেন সহকারী কোচ নিক পোথাস, 'এই প্রশ্ন নির্বাচকদের জন্য হবে, আমার না। আফিফ এখানে (আফগান সিরিজ) দুটি ম্যাচ খেলেছে। আমরা যদি প্রতিনিয়ত অদল-বদল করতে থাকি তবে খেলোয়াড়রা চাপে পড়ে। আপনাকে খেলোয়াড়দের উপর ভরসা রাখতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে সাত নম্বর পজিশন ভীষণ নির্ভরশীল হবে। প্রত্যেকটা খেলায় দেখতে হবে। প্রশ্নটা নির্বাচকদের।'
'কোন ব্যাটারই বলতে পারবে না এই পারফরম্যানে খুশি। আমি ব্যাটসম্যান হিসেবে আফিফের উপর খুশি আছি। সে মান সম্পন্ন ব্যাটার।'
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম করেন আফিফ। ৫৫ গড় ও ১১০ স্ট্রাইক রেটে ৫৫০ রান করে ফের চলে আসেন জাতীয় দলে।
জাতীয় দলে ফিরলেও তাকে এখনো আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে না। দলের প্রয়োজন মেটানো পারফর্ম করার অবস্থায় এই তরুণ আছেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে। পোথাস অবশ্যই এখনি উপসংহারে যেতে অনাগ্রহী। ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের ফারাক মনে করিয়ে সময় দেওয়ার পক্ষে এই প্রোটিয়া কোচ, 'কাউন্টি ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি বলা যায়। কিন্তু তাও তফাৎ থেকে যায়, একটা লাফের ব্যাপার থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রয়োগের ক্ষেত্রেও একটা লাফ দিতে হয়। আন্তর্জাতিক বোলাররা আপনার দুর্বলতা খুঁজে বের করবে। তাই সময় দিতে হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কিন্তু একটা সময় মানিয়ে নেওয়া যায়। মাখায়া এনটিনিও শুরুতে ভালো করেনি। কিন্তু যদি আস্থা রাখেন একটা সময় গিয়ে ভালো করবে। আমরা তাই আস্থা রেখেছি।'
Comments