বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দিল আফগানরা
মাঝে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা। এর আগে ও পরে নিয়মিত উইকেট তুলে আফগানদের চাপেই রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাতের আক্রমণে লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় সফরকারী আফগানিস্তান। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই পেল বাংলাদেশ।
রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১১৬ রান করেছে রশিদ খানের দল। তবে ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১১৯ রানে। ১৭ ওভারে এই রান করতে হবে টাইগারদের।
এদিন ম্যাচের ৭.২ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। ফলে বন্ধ থাকে খেলা। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর ফের খেলা শুরু হলে কমে আসে ম্যাচের পরিধি। তিন ওভার করে কাটা হয় ম্যাচের।
তবে ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরুটা করেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন। চতুর্থ বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে ছক্কা খাওয়ার পরের বলে আউট করেন তাকে। তার বাউন্সারে পুল করতে গেলে গুরবাজের ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। নিজেই সেই ক্যাচ লুফে নেন তাসকিন। তাতে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার ও দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণে ৫০ উইকেট পূরণ করেন তিনি।
এক ওভার পর ফিরে এক্সট্রা বাউন্সারে পরাস্ত করে আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকেও ফেরান তাসকিন। কাট করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। ফলে পাওয়ার প্লেতে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। ২ উইকেটে তোলে ৩৪ রান। এর কিছুক্ষণ পরই নামে বৃষ্টি।
বৃষ্টির পরও চাপ অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ। তবে নবম ওভারে দুইবার জীবন পান মোহাম্মদ নবি। আগের ম্যাচেই যিনি হাফসেঞ্চুরি করে আফগানদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন। তবে পরের ওভারেই উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচে পরিণত করে তাকে ফেরান মোস্তাফিজ।
পরের ওভারে তো জোড়া ধাক্কা দেন সাকিব। প্রথম বলে ইব্রাহীম জাদরানকে ফেরানোর পর শেষ বলে ফেরান নজিবউল্লাহ জাদরানকে। তাতে বড় চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। এরপর করিম জানাতকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন এ দুই ব্যাটার।
আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ওমরজাই। ২১ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২২ রান করেন ইব্রাহীম। ১৫ বলে ২০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন জানাত। বাংলাদেশের পক্ষে ৩৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান সাকিব ও মোস্তাফিজ।
Comments