ইমার্জিং কাপে জয়ের সেঞ্চুরি, জাকির-সৌম্য-মেহেদীর ব্যাটে রান

মঙ্গলবার কলম্বোর পি সারা ওভালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে বাংলাদেশ 'এ' দল।

অল্প রান তাড়ায় আগের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ঝলমলে ইনিংস খেললেও আফগানিস্তান 'এ' দলের বিপক্ষে রান পেলেন না নাঈম শেখ। বিশ্বকাপে বিকল্প ওপেনারের বিবেচনায় থাকা নাঈমের হতাশার দিনে আলো ছড়িয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। দলের চাপে দারুণ সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাটে। ফিফটি করেছেন জাকির হাসান, ছয়ে নেমে সৌম্য সরকার আগ্রাসী খেলে ফিফটি পাননি দুই রানের জন্য। শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংস খেলে অবদান রেখেছেন শেখ মেহেদী হাসান।

মঙ্গলবার কলম্বোর পি সারা ওভালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে বাংলাদেশ 'এ' দল। দলের হয়ে  ১১৪ বলে  সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন জয়।  ৭২ বলে ৬২ রান আসে জাকিরের ব্যাটে। ৪২ বলে তিন ছয়ে ৪৮ করে ফেরেন সৌম্য। মাত্র ১৯ বলের উপস্থিতিতে ৩৬ করেন শেখ মেহেদী।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেয়ে ০ ও ৯ রান করেন নাঈম। চট্টগ্রাম থেকে শ্রীলঙ্কা উড়ে গিয়ে ইমার্জিং কাপে শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের বিপক্ষে করেন ২২ রান। ওমানের বিপক্ষে ১২৭ রান তাড়ায় তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৪২ বলে ৪৭ রান।

আফগানদের বিপক্ষে এবার তার বড় পরীক্ষা ছিল। নিজেকে প্রমাণে এবার ব্যর্থ হলেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ফেরেন ১৯ বলে ১৮ করে।

তার আগে ফিরে যান আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করে তরুণ তানজিদ তামিম। ৯ বলে ৯ রান করে থামেন তিনি। চারে নেমে ব্যর্থ হন অধিনায়ক সাইফ হাসান। মোহাম্মদ সালিমের বলে এলবিডব্লিউতে বিদায় হয় তার।

৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তুলেন জয়-জাকির। দুজনেই ফিফটি করে ছুটছিলেন বড় কিছুর দিকে। ক্রিজে চনমনে উপস্থিতিতে জাকির কাড়ছিলেন নজর। রানরেট বাড়ানোর তাড়ায় ফেরেনও তিনি আগেভাগে। লেগ স্পিনার ইজহারুল হক নাভিদকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা দেন জাকির। এতে চতুর্থ উইকেটে ভাঙে ১১৭ রানের জুটি।

প্রথম ম্যাচে ছয়ে নেমে ৪২ রান করা সৌম্য ক্রিজে এসেই জানান দিচ্ছিলেন ইতিবাচক মানসিকতার। জিয়া আকবরকে ক্রিজ ছেড়ে উড়িয়ে ছক্কায় শুরু তার। এরপর প্রান্ত বদল করে রানের চাকা সচল রেখে থিতু হয়ে যান তিনি।

ভাগ্যের জোরে মাঝে দুই বাউন্ডারি পেলেও পেসার মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে সোজা ব্যাটে লং অফ দিয়ে ছয়, স্পিনে ক্লিন হিটে সুইপে পেয়েছেন বাউন্ডারি। যখনই মনে হচ্ছিল দলের রানটা তার ব্যাটেই উঠতে পারে বিশাল উচ্চতায় তখনই বিদায় সৌম্যের। ইব্রাহিমের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা দেন সৌম্য। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটিতে ৪৮ রানই করেন তিনি।

এরপর দ্রুতই আকবর আলির উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের দলটি। জয় যদিও টিকে থেকে ছক্কা মেরে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। তার ১১৪ বলের ইনিংস থেমেছে অবশ্য খানিক পরই। ঠিক ১০০ রান করতে ১২ চার আর দুই ছক্কা মেরেছেন তিনি।

আটে নেমে শেষ দিকে দলের রান বাড়িয়েছেন শেখ মেহেদী।

Comments

The Daily Star  | English
Dummy candidates

Placing dummies as alternatives disenfranchises voters

We are witnessing an engineered intra-party contest as most of the independents belong to the ruling party.

5h ago