এবার ১৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশের বড় হার

প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে দারুণ শুরু পাওয়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ম্যাচে আর চেনা গেল না। জেমাইমা রদ্রিগুয়েজের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে কোন জবাব দিতে পারলেন না নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ভারত।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের মেয়েদের ১০৮ রানের বড় ব্যবধানে হারায় সফরকারী ভারত। আগে ব্যাট করে ভারত করে ৮ উইকেটে ২২৮ রান। জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেটে ১০৬ থেকে ১২০ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে সফরকারীরা।
ব্যাটে-বলে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়ার কারিগর জেমাইমা। ব্যাট হাতে ৭৮ বলে ৮৬ রান করার পর অফ স্পিনে ৩.১ ওভারে মাত্র ৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
২২৯ রান করে ম্যাচ জিততে রেকর্ড গড়তে হতো বাংলাদেশকে। কারণ এর আগে ২১০ রানের বেশি তাড়া করার নজির নেই। বড় লক্ষ্যে শুরু থেকেই তাই চাপে পড়ে যায় জ্যোতির দল। পাঁচ ওভারের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার। চারে নামা লতা মণ্ডল ১৪তম ওভারে আউট হলে ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
রানের মন্থর গতির সঙ্গে উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে যাওয়া বাংলাদেশের মেয়েরা প্রতিরোধ গড়ে চতুর্থ উইকেটে। রিতু মনিকে নিয়ে ইনিংস মেরামতে নামেন ফারজানা হক পিংকি।
দুজনের ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন দেবিকা বিদ্যা। এরপরই যেন তাসের ঘর বাংলাদেশের ইনিংস। অনিয়মিত বোলার হিসেবে বল করতে এসে একের পর এক উইকেট তুলতে থাকেন জেমাইমা। পিংকির ৮১ বলে ৪৭ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রিতু মনির ২৭। পুরো ইনিংসে আর একজনই পেরেছেন দুই অঙ্ক পেরুতে। ওপেনার মুরশিদা খাতুন করেছিলেন ১২ রান।
অধিনায়ক জ্যোতিসহ বাকিরা ছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে। ১০৬ থেকে ১২০, স্রেফ ১৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রায় ১৫ ওভার আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতের ইনিংসে পঞ্চম ওভারে আঘাত হেনেছিলেন মারুফা আক্তার। দারুণ ইনস্যুইঙ্গারে বোল্ড করে দিয়েছিলেন প্রিয়া পুনিয়াকে। পরে স্বস্তিকা ভাটিয়াকে রান আউট করে দলকে ভালো শুরু পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
যদিও স্মৃতি মান্ধানা, হারমানপ্রিত কাউর আর জেমাইমার ব্যাটে চাপ জারি রাখা যায়নি। ওপেনার স্মৃতি ৩৬ রান করে আউট হলেও ফিফটি আসে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রিতের ব্যাটে।
তবে আসল কাজ করেছেন জেমাইমা। পাঁচে নামা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ৭৮ বলে ৯ চারে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে দলের পুঁজি নিয়ে যান বাংলাদেশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
Comments