‘তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এই অ্যাশেজ’
একদলের আস্থা ছিল প্রথাগত ঘরানায়, আরেক দল চিরচেনা আদল ভেঙে নিয়ে এসেছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধারা। অস্ট্রেলিয়ার চিরায়ত ধরণের সঙ্গে ইংল্যান্ডের 'বাজবলের' আগ্রাসী মেজাজ মিলিয়ে লড়াই হলো তাই তুমুল। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ফিরে এলো ইংলিশরা। রোমাঞ্চে ভরপুর সিরিজ শেষে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস বলছেন, আগামী প্রজন্মকে দারুণ প্রেরণা দিবে তদের এবারের লড়াই।
সোমবার ওভালে পঞ্চম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানে হারায় ইংল্যান্ড। চতুর্থ টেস্ট বৃষ্টির কারণে ড্র হওয়ায় সিরিজ শেষ হয় ২-২ সমতায়। আগের সিরিজে ঘরের মাঠে জেতায় অ্যাশেজ অবশ্য ধরে রাখে অজিরা।
দারুণ সিরিজ শেষে কথা বলতে এসে স্টোকস সিরিজ জিততে না পারার কষ্ট ভুলে গেলেন খেলার প্রেমে মজে, 'দুটি খুব ভালো দলের পাঁচ ম্যাচের সিরিজের পর আমার মনে হয় ফল ২-২ হওয়াটা খুব ন্যায্য প্রতিচ্ছবি।'
'অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এই সিরিজে এসেছিল। যে মানের ক্রিকেট এখানে প্রদর্শিত হয়েছে সেটা ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ের।'
প্রথম দুই টেস্ট হেরে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তৃতীয় টেস্ট সিরিজে ফেরা শুরু ইংল্যান্ডের। চতুর্থ টেস্টেও তিনদিন দাপট দেখিয়ে ম্যাচ ছিল তাদের মুঠোয়। বৃষ্টির কারণে দুই দিন ভেস্তে যাওয়ায় স্টোকসদের পুড়তে হয় হতাশায়। ওভালে শেষ টেস্টে একদম শেষ সেশনে গিয়ে জিতে সিরিজে সমতা আনে তারে। স্টুয়ার্ট ব্রডের বিদায় মঞ্চ হয় রঙিন।
স্টোকস মনে করেন এবারের অ্যাশেজ দিয়ে নতুন আরও দর্শকদের মন টেস্টে টানতে পেরেছেন তারা, 'আমি অবশ্যই মনে করি গত সাত সপ্তাহে আমরা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নতুন দর্শক টানতে পেরেছি।'
'এই সিরিজ (অ্যাশেজ) এমন একটি যা টেস্ট ক্রিকেটের প্রয়োজন- দুটি সেরা মানের দল সমানে সমানে ছয়, সাত সপ্তাহ জুড়ে লড়েছে। এরকম মানের খেলা হয়েছে আপনি চোখ সরিয়ে নিতে পারেননি।'
২০০৫ সালেও হয়েছিল দুর্দান্ত এক অ্যাশেজ। সেবার টানটান রোমাঞ্চের ভেলায় ভেসে ইংল্যান্ড জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। তখন সদ্য কৈশোর পেরুনো স্টোকসের মনেও দোলা দিয়ে গিয়েছিল তা। ইংল্যান্ড টেস্ট অধিনায়ক আশায় আছেন এবারের অ্যাশেজের রোমাঞ্চে বুঁদ হয়েও প্রেরণা পাবেন তার মতন অনেক তরুণ, 'আমি সত্যিই আশা করি নতুন প্রজন্মকে আমরা অনুপ্রাণিত করতে পারব।'
'যদি ২০০৫ সালে ফিরে যাই (ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল)। তরুণ হিসেবে ওই সিরিজ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ২০০৫ সালে আমি যে বয়সে ছিলাম, আশা করছি সেই বয়সের কেউ এই সিরিজ দেখে একইরকম প্রেরণা পাবে।'
Comments