‘পুরো ফিট না হলে কাউকে বিশ্বকাপে এফোর্ড করতে পারবেন না’

ইংল্যান্ডে চিকিৎসা করিয়ে সোমবার দেশে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। আপাতত সপ্তাহ খানেকের বিশ্রামের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবেন তিনি। তবে তার এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলা এখনো আছে ধোঁয়াশায়। সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফিটনেস।
বেশ কিছুদিন ধরেই পিঠের সমস্যায় ভুগছিলেন তামিম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট থেকে এই চোটেই ছিটকে যান।
ওয়ানডে সিরিজে ফিরলেও ফিটনেস থেকে যায় সংশয়ে। সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে, শতভাগ ফিট না হয়েও খেলার কথা জানান। তাতে বিতর্ক উস্কে যায়। বিসিবি প্রধান নাজমুল হোসেন পাপনও করেন মন্তব্য।
প্রথম ওয়ানডের পরের দিন সংবাদ সম্মেলন ডেকে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যান তিনি। এক দিন পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
এরপর থেকে দেড়মাসের ছুটির মধ্যে নিজেকে ফিট করতে বিসিবির তত্ত্বাবধায়নে ইংল্যান্ডে চিকিৎসা করালেন তিনি। জানা গেছে, চোট সারানোর প্রক্রিয়া হিসেবে তার কোমরে দেওয়া হয়েছে ব্যথানাশক ইনজেকশন। তবে তামিমের ব্যথা যেকোনো সময় আবার ফিরে আসতে পারে বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপে সুজন দেন স্পষ্ট মত, 'প্রথম কথা হলো যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য সেটা তামিম হোক বা অন্য কেউ, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সম্পূর্ণ ফিট থাকা।'
বিসিবির প্রভাবশালী এই পরিচালক আশা করেন পুরোপুরি সেরে উঠে মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন তামিম। কিন্তু তার মতে শতভাগ ফিটনেস ছাড়া বিশ্বকাপে কাউকে বহন করা এখন কঠিন, 'কোন সন্দেহ নেই তামিম এখনো দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার। সবাই জানে দলে তার গুরুত্ব। কিন্তু যদি আপনি বিশ্বকাপের কথা বলেন তাহলে যে ফিট না তাকে আপনি স্কোয়াডে এফোর্ড করতে পারবেন না। এটা ৬০০ বলের খেলা, আপনাকে সব সময়ই সজাগ থাকতে হবে। যদিও আমি আশা করছি তামিম ইনজুরি থেকে সেরে ফিরবে। যেটা বড় আসরে বাংলাদেশকে সুবিধা দিবে।'
Comments