এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদমাধ্যমের কাছে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম নিশ্চিত করেছেন।
Shakib Al Hasan
সাকিব আল হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আসন্ন এশিয়া কাপ ও ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন এই বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার।

শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসভবনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদমাধ্যমের কাছে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ গত ৩ অগাস্ট তামিম ইকবাল নেতৃত্ব ছাড়ার পর সেই শূন্যস্থান পূরণে অনুমিত পথেই হেঁটেছে বোর্ড।

নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নামই উচ্চারিত হচ্ছিল জোরেশোরে। তালিকায় ছিলেন আরও দুজন, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী সাকিবের অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখল বিসিবি।

সাকিবকে অধিনায়ক নির্বাচন করার বিষয়ে পাপন বলেন, 'এশিয়া কাপ, তারপর বিশ্বকাপ। এত কম সময়ের মধ্যে আমার কাছে মনে হয়েছে, সবচেয়ে সহজ ও অভিয়াস চয়েজটাই (অবধারিত পছন্দটাই) হচ্ছে সাকিব। আরেকটা অটো চয়েজ (নিশ্চিত পছন্দ) আছে সাকিব না খেললে। সহ-অধিনায়ক (লিটন) যে আছে, সে হবে (অধিনায়ক)।'

তিনি যোগ করেন, 'আরও দুয়েকটি নাম এসেছে, যেমন মিরাজ। দীর্ঘমেয়াদে যদি আমরা চিন্তা করি, ভবিষ্যতে কী হবে। কারণ, এখন তো ধরেন মুশফিক (মুশফিকুর রহিম) করছে না, তামিমও ছেড়ে দিল। সাকিবও যদি কখনও ছেড়ে দেয় তখন কী হবে। ওরকম দীর্ঘমেয়াদে যখন চিন্তা করব, তখন আরও নাম আসবে।'

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগে থেকেই বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব আছেন সাকিব। তবে ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার তিন সংস্করণেই অধিনায়কত্ব করবেন কিনা বা দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্বে থাকবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। তার সঙ্গে আরও আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে নেওয়া হবে।

এই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'ওর (সাকিব) সঙ্গে সেরকম আলোচনায় হয়নি। ও দেশে এলে তারপর বলতে পারব। দীর্ঘমেয়াদে ওর পরিকল্পনাটাও জানতে হবে। কারণ, একসঙ্গে তিনটা (দায়িত্ব) ওর ওপর বোঝা হয়ে যাবে। যে পরিমাণ খেলা আমাদের, কাজেই ওর সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। ওর সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলাটা এখন কঠিন।'

সাকিবের নেতৃত্বে এর আগে ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। ওই বছরই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আর পাকাপাকিভাবে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক থাকেননি তিনি। মাঝে ২০১৫ সালে দুটি ও ২০১৭ সালে একটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন সাকিব। তবে সেসব ছিল ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে, নিয়মিত দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজার অনুপস্থিতিতে।

সাকিবের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত ৫০টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দল জিতেছে ২৩ ম্যাচে, হেরেছে ২৬ ম্যাচে। বাকি একটিতে কোনো ফল আসেনি।

Comments