ফিরে দেখা এশিয়া কাপ

এশিয়া কাপে বাংলাদেশি ব্যাটারদের যত সেঞ্চুরি

এশিয়া কাপের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচ বাংলাদেশি ব্যাটার, তবে সেঞ্চুরি এসেছে মোট ছয়টি। সর্বোচ্চ দুই সেঞ্চুরি আছে মুশফিকুর রহিমের। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের হয়ে এই আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ আশরাফুল, ২০১৮ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে আসরে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে স্মরণীয় সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। 

মোহাম্মদ আশরাফুল (২০০৮)

২০০৮ সালের এশিয়া কাপে লাহোরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনে নেমেছিলেন তখনকার বাংলাদেশ অধিনায়ক আশরাফুল। ৪৪ ওভার পর্যন্ত খেলে ১২৬ বলে করেন ১০৯ রান। সেই ম্যাচে ৩০০ রান করে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিল ৯৬ রানে।

অলক কাপালি  (২০০৮)

আশরাফুলের সেঞ্চুরির ঠিক চারদিন পরই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি আসে অলক কাপালির ব্যাটে। এই সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ম্যাচ না জিতলেও এর মাহাত্ম্য  ছিল বেশি। কারণ সেঞ্চুরিটি অলক করেছিলেন ভারতের মতো বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে কোন বাংলাদেশি ব্যাটারের এটাই ছিল প্রথম কোন সেঞ্চুরি।

করাচিতে সেদিন ছয়ে নেমেছিলেন অলক। শেষ ওভার পর্যন্ত খেলে আগ্রাসী মেজাজে করেন ৯৬ বলে ১১৫ রান।

মুশফিকুর রহিম (২০১৪ ও ২০১৮)

এরপর তৃতীয় সেঞ্চুরি আসে ২০১৪ সালের আসরে। সেবার ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। ফতুল্লায় ১১৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তখনকার অধিনায়ক মুশফিক। সেই ম্যাচ যদিও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে হতাশ হতে হয় পরে।

মুশফিকের সবচেয়ে স্মরণীয় সেঞ্চুরি অবশ্য এসেছে দুবাইতে ২০১৮ সালে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ রানেই  বাংলাদেশের পড়ে গিয়েছিল ২ উইকেট। এরমধ্যে তামিম ইকবাল হাতে চোট পেয়ে বেরিয়ে গেছেন মাঠের বাইরে। চরম বিপর্যস্ত দলকে এরপর পুরোটাই টেনে নেন মুশফিকুর রহিম। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে একটি জুটির পর জখম  নিয়ে শেষ দিকে ক্রিজে আসা তামিমকে এক পাশে রেখে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন মুশফিক।  তার ১৫০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে নিয়ে যায় ২৬১ রানে। ওই পুঁজি নিয়ে পরে ১৩৭ রানে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। যা পরে ওই আসরে ফাইনালে যাওয়ার পথ করে দেয়।

এনামুল হক বিজয় (২০১৪)

২০১৪ সালের আসরেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনার এনামুল হক বিজয় করেন সেঞ্চুরি। মিরপুরে ডানহাতি ব্যাটার ১০০ রান করতে অবশ্য লাগিয়ে দেন ১৩২ বল। ওই ম্যাচে মুশফিক ও সাকিব রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। মুশফিক মাত্র ৩৩ বলে ৫১ আর সাকিব ১৬ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললে ৩২৬ রানের বিশাল পূঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচটা এক পর্যায়ে জেতার পথেও ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু আহমেদ শেহজাদের সেঞ্চুরি শহিদ আফ্রিদির ২৫ বলে ৫৯ রানের ঝড়ে এক বল আগে আক্ষেপে পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। 

লিটন দাস (২০১৮)

এশিয়া কাপের ফাইনাল মঞ্চে এটিই বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি। লিটন তখনো পায়ের নিচে মাটি শক্ত করতে পারেননি। আগের ম্যাচগুলোতে পাননি তেমন বলার মতো রান। প্রচুর চাপ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে নেমে তিনি হয়ে উঠেন দুর্বার। জাসপ্রিট বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজভেন্দ্র চেহেলদের এলোমেলো করে দেন শটের বাহারে। দুবাইতে তার দ্যুতি বাংলাদেশকে বড় রানের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু লিটন বাদে আর কেউ সেদিন তেমন কিছু করতে পারেননি। লিটনের সঙ্গে ওপেন করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৩২, সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। বিনা উইকেটে ১২০ রান থেকে ২২২ রানে গুটিয়ে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

রান তাড়ায় গিয়ে কঠিন অবস্থায় পড়ে ভারতও। মাহেন্দ্র সিং ধোনির ঝলকে একদম শেষ বলে গিয়ে তারা ম্যাচ জিতে ৩ উইকেট। আরেকটি আক্ষেপ লেখা হয়ে যায় বাংলাদেশের খাতায়। 

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

1h ago