মার্শ-ডেভিডের তাণ্ডবে বিশাল জয় অস্ট্রেলিয়ার
প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড হাতে পরেছিলেন মিচেল মার্শ। আর অভিষেকের দিনেই দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিলেন। তার সঙ্গে জ্বলে ওঠেন টিম ডেভিডও। এরপর তানভির স্যাঙ্ঘার স্পিনবিষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল তারা।
বুধবার ডারবানে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রোটিয়াদের ১১১ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২২৬ রান করে অজিরা। জবাবে ১.৩ ওভারে ১১৫ রান তুলেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই সবচেয়ে বড় জয় তাদের। ২০২০ সালে জোহানেসবার্গে ১০৭ রানে জয় ছিল আগের রেকর্ড। এদিন আরও একটি রেকর্ড গড়েছে তারা। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ২২৬ রান তুলেছে তারা। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৮ করেছিল ভারত।
এদিন অবশ্য বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার, ক্যামেরন গ্রিন ও জশ হেজেলউডের সঙ্গে চোটের কারণে ছিলেন না স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। অবশ্য কুইন্টন ডি কক, হ্যানরিখ ক্লসেন, ডেভিড মিলার, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদার মতো তারকাদের বিশ্রাম দেয় প্রোটিয়ারাও।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৬ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর ম্যাথিউ শর্টের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মার্শ। শর্টকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন লিজাড উইলিয়ামস। এরপর দ্রুত জশ ইংলিস ও মার্কাস স্টয়নিসকেও তুলে নেয় তারা।
তবে পঞ্চম উইকেটে টিম ডেভিডকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন মার্শ। স্কোরবোর্ডে ৯৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর ডেভিড ফিরে গেলেও অ্যারন হার্ডিকে নিয়ে বড় পুঁজি গড়েই মাঠ ছাড়েন অজি অধিনায়ক।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মার্শ। ৪৯ বলে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ২৮ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন টিম। এছাড়া ১৪ বলে ২৩ রান করেন হার্ডি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান লিজাড।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই খালি হাতে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এরপর রাসি ফন ডার ডুসেনের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়ে লড়াইয়ের আভাস দেন রিজা হ্যান্ড্রিকস। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লড়াইটাও জমাতে পারেনি তারা।
মূলত তরুণ লেগস্পিনার স্যাঙ্ঘার ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয় প্রোটিয়ারা। অথচ এই ম্যাচে খেলারই কথা ছিল না তারা। অভিষেকেই ৮ ওভারে ৩১ রানের খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। দুটি শিকার স্পেনসার জনসনেরও।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন রিজা। ডুসেনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এ দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল মার্কো ইয়ানসেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
Comments