অবশেষে রানের দেখা পেলেন সূর্যকুমার

তবে মোহাম্মদ শামির বিধ্বংসী বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত।

সংস্করণটা যখন টি-টোয়েন্টি, তখন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটার মানা হয় ভারতের সূর্যকুমার যাদবকে। কিন্তু সেই ব্যাটার সাদা বলের আরেক সংস্করণ ওয়ানডেতে বেশ ভুগছিলেন। ম্যাচের পর পর ম্যাচে পাচ্ছিলেন না রানের দেখা। তবে অবশেষে এ সংস্করণে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ জয়ের দিনে কার্যকরী এক ফিফটি তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এক নম্বর ব্যাটার।

শনিবার মোহালিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্বাগতিক দলটি।

তবে এই জয়ের দিনে টিম ইন্ডিয়ার জন্য বড় স্বস্তির খবর সূর্ককুমারের রানে ফেরা। আগের ২১ ম্যাচে কোনো ফিফটির দেখা পাননি এই ব্যাটার। এ সময়ে তার গড় ছিল ১৫.৩৩। মাঝে তো টানা তিন ম্যাচে খুলতে পারেননি রানের খাতাও। তাতে অনেকেই টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটারকে ওয়ানডে অচল বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিন ৪৯ বলে ৫০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন তিনি। যেখানে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কা।

তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার রানের পুঁজিটা সাধ্যের মধ্যে রাখতে মূল ভূমিকা রাখেন পেসার মোহাম্মদ শামি। তিনিও পেয়েছেন চার বছর পর ফাইফারের দেখা। ১০ ওভার বল করে ৫১ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন এই পেসার। এর আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

তবে অজি শিবিরে শুরুতেই মিচেল মার্শকে তুলে শামি ধাক্কা দেওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে স্টিভেন স্মিথকে প্রতিরোধ গড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৯৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর মার্নাস লাবুশেন, ক্যামেরুন গ্রিন ও জশ ইংলিশদের ব্যাটে ভালো লড়াই করে সফরকারীরা। তবে শেষ দিকে আবার তোপে দাগান শামি। তাতে মাঝারী পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় অজিদের।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। ৫৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া স্মিথ ৪১, লাবুশেন ৩৯, গ্রিন ৩১ ও ইংলিশ ৪৫ রান করেন।

লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়ার ও শুভমান গিলের ব্যাটে শুরুটাই দারুণ হয় ভারতের। ১৪২ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। দুই ব্যাটারই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিন অঙ্কের দিকে। তবে অ্যাডাম জাম্পার ঘূর্ণিতে থামেন এ দুই ব্যাটারই। এরপর দ্রুত রানআউট হয়ে যান শ্রেয়াস আইয়ারও। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইশান কিষানও। এরপর সূর্যকুমারকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন লোকেশ রাহুল। এরপর সূর্যকুমার  ফিরে গেলে বাকি কাজ জাদেজাকে নিয়ে শেষ করেন রাহুল।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন শুভমান। ৬৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৭৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭১ রান করেন রুতুরাজ। অধিনায়ক রাহুল ৬৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago