ভারতের বিপক্ষে বিধ্বস্ত জ্যোতিরা
বৃষ্টির কারণে না খেলেই সেমি-ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এদিনও ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোদ হেসেছে হাংজুর আকাশে। কিন্তু হাসতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। মাত্র ৫১ রানেই গুটিয়ে গিয়ে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানেই হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
রোববার ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ক্রিকেট ফিল্ডে এশিয়া গেমসের সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৫ ওভার ব্যাট করে মাত্র ৫১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ৮.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ভারত।
এই হারে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামতে হবে জ্যোতিদের। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার পরাজিত দলের সঙ্গে লড়াই করতে হবে জ্যোতিদের। এর আগে ২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে রৌপ্য জিতেছিল নারী ক্রিকেট দল।
অথচ এদিন টস জিতেছিল বাংলাদেশই। বৃষ্টিভেজা মাঠে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় তারা। কিন্তু শুরু থেকেই বিবর্ণ ব্যাটিং। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এক অধিনায়ক নিগার সুলাতানা ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই পারেননি দুই অঙ্ক ছুঁতে। তিনিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১২ রানে রানআউটে কাটা পড়েছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে সব আশাই শেষ হয়ে যায় টিম টাইগ্রেসদের।
এদিন দলের পাঁচ জন ব্যাটার খুলতে পারেননি রানের খাতা। দুই ওপেনার সাথি রানী ও শামিমা সুলতানাও রয়েছেন এই তালিকায়। এরপর স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা আক্তার ও মারুফা আক্তারও পারেননি রানের খাতা খুলতে।
শুরুতে ভারতীয় পেসার পুজা ভাস্ত্রকারের তোপে পড়ে বাংলাদেশ। একাই ৪ উইকেট নেওয়া এ পেসার ছাড়া ভারতের সব বোলারই রাজ করেছেন টাইগ্রেসদের উপর। কোনো জুটি তো দূরের কথা ব্যক্তিগতভাবেও কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ফলে প্রতিবেশী দেশটির কাছে নাস্তানুবাদই হতে হয় বাংলাদেশকে।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের জন্য কাজটা খুব কঠিন হয়নি। দলীয় ১৯ রানে স্মৃতি মান্ধানাকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মারুফা। এরপর দলীয় ৪০ রানে আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মাকেও তুলে ছিল দলটি। তবে কনিকা আহুজাকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই শেষ করেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ১৫ বলে সর্বোচ্চ ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
Comments