পাকিস্তানের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ

টিপিকাল মিরপুরের উইকেট। সেখানে টস জিতে ব্যাটিং নিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরু থেকেই ছড়ি ঘোরাতে শুরু করলেন পাকিস্তানের তিন স্পিনার সাদিয়া ইকবাল, উম্মে হানি ও অধিনায়ক নাদিয়া দার। তাদের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত টাইগ্রেসদের ব্যাটিং লাইন আপ। ফলে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত পুঁজি মিলেনি তাদের। সাদামাটা লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানের মেয়েদের।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩১.৫ ওভারে মাত্র ৮১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৫১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হারটা এক অর্থে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসেই। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। টাইগ্রেসদের টপ অর্ডার ছাঁটাই করেন সাদিয়া। দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও ফারজানা হকের সঙ্গে তিন নম্বরে নামা সোবহানা মোস্তারিকে তুলে নেন এই এই বাঁহাতি স্পিনার। এরপর ফিরিয়ে দেন স্বর্ণা আক্তারকেও। ফলে দলীয় ২৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ফাহিমা খাতুন। ২২ রানের ছোট একটু জুটিও গড়েছিলেন। যা ইনিংসের সর্বোচ্চও বটে। এ জুটি দারুণ কিছু করার আগেই টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগারকে বোল্ড করে এ জুটি ভাঙেন নাদিয়া। দলীয় ৬০ রানে ফাহিমাকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় স্বীকারে পরিণত করেন এই অফস্পিনার।
এরপর আবার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। বাংলাদেশের প্রথম চার উইকেট সাদিয়া নেওয়ার পর বাকি ছয় উইকেট হানি ও নাদিয়া তিনটি করে ভাগাভাগি করে নেন। ফলে কোনোমতে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংস খেলেন ফাহিমা। এছাড়া রিতু মনি ১৪ ও নিগার ১৩ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে এই তিন ব্যাটারই কেবল দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। পাকিস্তানের হয়ে সাদিয়া ৯ রানের খরচায় পান ৪ উইকেট। নাদিয়া ১০ ও হানি ২০ রানের বিনিময়ে ৩টি করে উইকেট নেন।
সাদামাটা পুঁজি নিয়ে অবশ্য বল হাতে শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশের বোলাররা। দলীয় ২৭ রানে টপ অর্ডারের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল দলটি। ওপেনার সিদ্রা আমিনকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাহিদা আক্তার। আরেক ওপেনার সাদাফ শামসকে রানআউট করেন স্বর্ণা আক্তার। আর বিসমাহ মারুফকে তুলে নিয়ে ম্যাচ ফিরেছিল টাইগ্রেসরা।
এরপর দলীয় ৪২ রানে মুবিনা আলীকে বোল্ড করে টাইগ্রেসদের ম্যাচেই রাখেন ফাহিমা। তবে আলিয়া রিয়াজকে নিয়ে অধিনায়ক নাদিয়ার ২৮ রানের জুটি হতাশা বাড়ায় টাইগ্রেসদের। এ জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর দলীয় ৭০ রানে আলিয়াকে নাহিদা নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করলেও বাকি কাজ নাজিহা আলভিকে নিয়ে শেষ করেন নাদিয়া।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক নাদিয়া। ৫৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া আলিয়া করেন ১৬ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ৩০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন নাহিদা।
Comments