ফিলিপসের বলে লালা ব্যবহারের ঘটনা অফিসিয়ালদের জানিয়েছে বাংলাদেশ
'এটা বড় কোন ঘটনা না', চেয়ার ছেড়ে উঠে যাওয়ার সময় বললেন মুমিনুল হক। তাকে যখন মনে করিয়ে দেওয়া হলো, এই কারণে নিউজিল্যান্ডের পাঁচ রান পেনাল্টিও হতে পারে। তখন হেসে বললেন, 'তাহলে অবশ্যই বড় ঘটনা।' গ্লেন ফিলিপস বলে লালা ব্যবহার করা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলন হচ্ছিল আলোচনা। অনেকের চোখ এড়িয়ে গেলেও বিষয়টি আম্পায়ারদের নজরে আনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ঘটে এই ঘটনা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৪তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। দ্বিতীয় ডেলিভারিটি করার আগে দুবার বলে লালা ব্যবহার করেন অফ স্পিনার ফিলিপস। টেলিভিশনের পর্দাতেও ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য। দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার আহসান রাজা ও পল রাইফেল ফিলিপসের নজরে আসেনি তা।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করেছে আইসিসির সঙ্গে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, 'মাঠের ভেতরের ঘটনাগুলো সামলানো ম্যাচ কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে এবং আমরা এসব ব্যাপারে বিবৃতি দিই না।' এই ধরণের ঘটনায় অন ফিল্ড আম্পায়াররা চাইলে পাঁচ রান পেনাল্টি করতে পারেন।
ক্রিকেটের আইনের ৪১.৩ ধারা হালনাগাদ করা হয়েছে এবং গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'কোভিড-১৯ মহামারীর পর যখন ক্রিকেট আবার শুরু হয়েছিল, তখন এই খেলার শর্তগুলোর মধ্যে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, বলে লালা ব্যবহারের অনুমতি আর নেই। এমসিসির (ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা) গবেষণায় দেখা গেছে যে, বোলাররা যে পরিমাণ সুইং পান, সেটার ওপর লালার প্রভাব সামান্য বা কোনো প্রভাব নেই। খেলোয়াড়রা বল চকচকে করার জন্য যে ঘাম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নতুন আইন অনুসারে, বলের ওপর লালা ব্যবহারের অনুমতি আর নেই।'
করোনাভাইরাস মহামারির আগে অবশ্য বলে লালা ব্যবহার ছিল নিয়মিত দৃশ্য। করোনা পরবর্তী যুগে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় নিয়ে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞাই পরে নিয়মিত করা হয়।
এদিনের ঘটনায় বাংলাদেশ দল বিষয়টি চতুর্থ আম্পায়ারের কাছে অবগত করেছে। এখন পুরো বিষয়টিই আম্পায়ারদের এখতিয়ার।
Comments