বাংলাদেশের কাছে হারের একাধিক কারণ দেখছেন সাউদি
সিলেটের মাঠ, হোটেল এমনকি উইকেট সব কিছুই মনে ধরেছে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদির। সংবাদ সম্মেলনের একদম শেষে বললে স্রেফ ম্যাচের ফলটা ছাড়া সবই ভালো ছিলো। তার জন্য ফল তিতা হলেও বাংলাদেশের জন্য ভীষণ মিষ্টি। ঘরের মাঠে কিউইদের পুরো শক্তির দলকে হারিয়ে উঠছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিউই কাপ্তান সাউদি ম্যাচ শেষে পর্যালোচনায় গিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রশংসাই করে গেলেন।
শুক্রবার বিকেলেই ম্যাচের গতিপথ অনেকটা ঠিক হয়ে যায়। শনিবার সকালের সেশনে বাকি কাজ সেরে বাংলাদেশ জিতে যায় ১৫০ রানে। দুই বছর আগেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা নিউজিল্যান্ড পুরো শক্তির দল নিয়েও বাংলাদেশের সঙ্গে কেন পেরে উঠল না?
দলের হয়ে কথা বলতে এসে সাউদি বিশ্লেষণ করে কারণ খুঁজে পেলেন একাধিক। যাতে তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্তদের কৃতিত্বই হলো বড়, 'বাংলাদেশের বোলাররা লম্বা সময় ধরে আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পেরেছে। আমরা চেষ্টা চালিয়েছিলাম কিন্তু পর্যাপ্তভাবে টানতে পারিনি ইনিংস। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে বড় জুটি দরকার ছিলো, যেটা আসেনি।'
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে ৩১৭ রান তুলে ৭ রানের লিড নিয়েছিল কিউইরা। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের শক্ত অবস্থান পাইয়ে দেন শান্ত। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে তিনশো ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন। শান্তর সেঞ্চুরির কারণেই ৩৩১ রানের লক্ষ্যের পিছনে ছুটতে হয় কিউইদের।
সাউদির মতে ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট এই শতক, 'শান্তর ইনিংস ছিল সেরা, খুবই সময় উপযোগীও ছিলো। কাজেই অনেকগুলো বিষয় ছিলো (টেস্ট হারের পেছনে)। এই জায়গা থেকে উন্নতির পথ খুঁজতে হবে। আশা করি শিক্ষাটা সামনের দিনে কাজে লাগবে।'
এক পেসার আর তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজানো বাংলাদেশের সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন, তাইজুল দুই ইনিংস মিলে নিয়েছেন ১০ উইকেট। সাউদির মতে এক জায়গায় টানা বল করে তাদের আটকে রেখেছিলেন স্বাগতিক বোলাররা, 'বাংলাদেশের বোলাররা ভালো বল করেছে, নিখুঁত ছিলো। তারা যেরকম বল করেছে, যে মানের বল করেছে বিশ্বের এই প্রান্তে টেস্ট ম্যাচ এগুলে ব্যাটারদের কাজটা কঠিন হবে।'
'বিশ্বের এই প্রান্তে বাংলাদেশ খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। তারা এই কন্ডিশনে অভ্যস্ত। খেলার জন্য এটা কঠিন এক কন্ডিশন।'
Comments