হোপের সেঞ্চুরিতে ‘নতুন’ ইংল্যান্ডকে হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

রোববার রাতে অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৪ উইকেটে। আগে ব্যাটিং বেছে সম্মিলিত প্রয়াসে ৩২৫ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে সফরকারী বোলিং গুঁড়িয়ে আলিক আথানজের ফিফটি পর ৮৩ বলে অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংসে কাজ সেরে ফেলেন হোপ। 
Shai Hope
সেঞ্চুরির পথে শেই হোপ

ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলে ছিল পালাবদলের সুর। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশ কয়েকজনকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক জস বাটলার। সেই শুরুটাতেই ধাক্কা দিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। হ্যারি ব্রুকদের ব্যাটে তিনশো ছাড়ানো পুঁজি গড়েছিল ইংল্যান্ড। সেই রান শেই হোপের আগ্রাসী সেঞ্চুরিতে পেরিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

রোববার রাতে অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৪ উইকেটে। আগে ব্যাটিং বেছে সম্মিলিত প্রয়াসে ৩২৫ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে সফরকারী বোলিং গুঁড়িয়ে আলিক আথানজের ফিফটি পর ৮৩ বলে অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংসে কাজ সেরে ফেলেন হোপ। 

৩২৬ রান তাড়ায় ওপেনিং জুটি হয় দারুণ। ব্র্যান্ডন কিংকে নিয়ে শতরান পেরুন আথানজে। ৪৪ বলে ৩৫ করে লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে কিংয়ের পর রেহান আহমেদের শিকার হন আথানজেও। এরপর কেসি কার্টিকে দ্রুত ফিরিয়ে আশা বাড়াতে পারেনি সফরকারীরা। হোপ এসে বদলে দেন প্রেক্ষাপট। শেমরন হেটমায়ারকে নিয়ে ৫২ বলে ৫৬ রানের জুটিতে গতি আনেন হোপ। 

গাস অ্যাটকিনসন হেটমায়ারকে আউট করে ব্রেক থ্রো আনার পর শেরফান রাদারফোর্ড শিকার হন রেহানের। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে নড়ে যাওয়া ক্যারিবিয়ানরা ফের নাটাই তুলে নেয় রোমারিও শেফার্ডের দক্ষতায়। 

হোপ-শেফার্ড জুটিতে ৫১ বলে আসে ৮৯ রান। ২৮ বলে তাতে ৪৯ রানের ঝড় তুলেন শেফার্ড। হোপ চালিয়ে খেলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৭ বল আগেই ম্যাচ শেষ করে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

এর আগে আগ্রাসী শুরু পেয়েছিল ইংল্যান্ডও। ফিল সল্ট-উইল জ্যাকস মিলে ৭৭ রানের জুটি পেয়েছিলেন। দুজনেই থিতু হয়ে কাজ অসমাপ্ত রেখে ফেরেন। যদিও সল্টের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। 

তিনে নেমে জ্যাক ক্রলি ধরে রাখেন হাল। বেন ডাকেট ডানা মেলতে না পারলেও ব্রুককে পেয়ে যান তিনি। ক্রলি ৬৩ বলে ৪৮ রান করে হয়েছেন রান আউট। ব্রুক ৭২ বলে ৭১ করে ফেরেন শেফার্ডের পেসে। 

অধিনায়ক জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনদের ব্যর্থতার দিনে স্যাম কারান, ব্র্যান্ডন কার্সদের শেষের ঝড়ে তিনশো ছাড়িয়ে শক্ত পুঁজি পেয়েছিল সফরকারীরা। তবে সেই রান হয়নি যথেষ্ট। 

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

6h ago