টেস্টে পালাবদল ভালোভাবেই চলছে

টেস্ট ক্রিকেটে নীরব পালাবদল হচ্ছে বাংলাদেশ দলে। এক সময়ের নিয়মিত তারকারা ক্রমেই দূরে সরছেন, নতুনরা এসে দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাতে কিছু সাফল্য যোগ হওয়ায় নতুন আদলে ছুটে চলার প্রেরণা পাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এই পালাবদলের প্রথম জোর আভাস মিলে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে গিয়ে টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর মতন বড় ঘটনার জন্ম দেয় বাংলাদেশ। তখন কিউইরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন, ঘরের মাঠে দুর্বার।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে সেই টেস্টে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা ছিলেন না। মুশফিকুর রহিম দলে থাকলেও পারফর্ম করেননি। ইবাদত হোসেন, মুমিনুল হক, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম- এরা সবাই রাখেন বড় ভূমিকা। বাংলাদেশ পায় নিজেদের ইতিহাসের সেরা জয়।
এবারও দলে সাকিব-তামিম নেই। মুশফিকুর ছিলেন অবশ্য, এবার এক ইনিংসে ফিফটি করে তার ভূমিকা আছে।
চোটের কারণে ইবাদত, তাসকিনকে পায়নি বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে লিটন। সেরা সমন্বয় না পেয়েও সিলেটে পুরো শক্তির নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে টেস্টে হারিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এক বার্তা দিল শান্তর দল।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের মতে এই জয় লাল বলের ক্রিকেটে আগামীর উজ্জ্বল বার্তা। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আমাদের নিয়মিত অনেক খেলোয়াড় ছিলো না স্কোয়াডে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো এসব খেলোয়াড় ছাড়াও বড় দলের বিপক্ষে আমরা কেমন করি। এই পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে বলব তরুণরা দাঁড়িয়েছে এবং পারফর্ম করে দেখিয়েছে।'
টেস্টে পুল বড় করা, নিয়মিতদের না পেলেও ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা ছিল বেশ কদিনের। সেটা কাজে দিয়েছে। হাবিবুলের মতে পাইপলাইনের সঙ্গে সব দিক থেকেই ফারাকটা কমে গেছে, যা তাদের দিচ্ছে স্বস্তি, 'আমাদের জন্য নতুনদের দিয়ে অভিজ্ঞদের জায়গা পূরণ নয়। বরং চোট বা অন্য কারণে নিয়মিত অনেক তারকা না থাকলেও তাদের জায়গায় খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়া।'
'পালাবদল প্রতিনিয়ত চলছে, ভালভাবেই এগুচ্ছে। তাসকিন ও ইবাদত না থাকলেও আমাদের খালেদ ও হাসান আছে। কাজেই গ্যাপটা ২০-১৮, ১৫-২০ নয়।'
Comments