রাসেলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সতীর্থরা যখন বেদম পিটুনি খাচ্ছিলেন তখন বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন আন্দ্রে রাসেল। তুলে নেন ব্রেক থ্রুও। এরপর তার সঙ্গে জ্বলে ওঠে বাকি বোলাররাও। ফলে লক্ষ্যটা নাগালেই থাকে তাদের। এরপর ব্যাট হাতে খেলেন ঝড়ো এক ইনিংস। তাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সহজেই জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা।
মঙ্গলবার বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে ইংলিশরা। জবাবে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে রভম্যান পাওয়েলের দল।
এদিন টস হেরে শুরুটা ভালোই করেছিল ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট ও অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাটে ৭৭ রানের ওপেনিং জুটি পায় ইংল্যান্ড। তাও আবার পাওয়ার প্লেতেই এই রান তোলে তারা। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা। একই সঙ্গে রানের গতিতেও লাগাম টানে তারা। শেষ পর্যন্ত পুরো ২০ ওভারই খেলতে পারেনি ইংলিশরা।
সল্টকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন ম্যাচসেরা রাসেল। শুধু তাই নয়, এরপর সেট আরেক ব্যাটার লিয়াম লিভিংস্টনকেও ফেরান এই অলরাউন্ডার। লেজ ছাঁটাইয়েও সাহায্য করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩টি উইকেট নিয়েছেন আলজেরি জোসেফও। তবে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি। ৩.৩ ওভারেই দিয়েছেন ৫৪ রান। ২২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।
ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন সল্ট। মাত্র ২০ বলে এই রান করেন তিনি। সেখানে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার মারেন এই ওপেনার। আরেক ওপেনার বাটলার খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। ৩১ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া ১৯ বলে ২৭ রান করেন লিভিংস্টন।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে আউট হন ওপেনার ব্রান্ডন কিং। এরপর শাই হোপের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন মেয়ার্স। সাবেক অধিনায়ক নিকোলাস পুরান অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১০০ রানে ১৩ রান করে বিদায় নেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
পুরানকে তুলে নেওয়ার পর দ্রুত শিমরন হেটমায়ারকে ফেরায় ইংলিশরা। দলীয় ১২৩ রানে তো জোড়া আঘাত করেন তারা। শাই হোপের সঙ্গে রোমারিওকে তুলে ক্যারিবিয়ানদের কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ইংলিশরা। কিন্তু এরপর অধিনায়ক পাওয়েল ও রাসেলের ব্যাটে আর কোনো বিপদ হয়নি। দুই জনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছায় দলটি। সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন হোপ। ৩০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ২১ বলে ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ রান করেন মেয়ার্স। তবে মাত্র ১৪ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রানের ক্যামিও খেলেন রাসেল। ১৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ রানের ক্যামিও খেলেন অধিনায়ক পাওয়েল। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন রেহান আহমেদ। ২টি শিকার আদিল রশিদের।
Comments