জামালের দাপটে লড়াইয়ে পাকিস্তান

ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে আগের দিনে রাজত্ব করেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ বেলায় সেই ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন অভিষিক্ত পেসার আমির জামাল। সেই জামাল দ্বিতীয় দিনে আরও দারুণ বোলিং করেছেন। একাই ছয় উইকেট তুলে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রেখেছেন এই তরুণ।
পার্থ স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৩২ রান করেছে পাকিস্তান। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৮৭ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন শেষে তাই এখনও ৩৫৫ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
সকালে আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন অস্ট্রেলিয়ার দুই অপরাজিত ব্যাটার মিচেল মার্শ ও আলেক্স ক্যারি। আগের দিনই ৪২ রানের জুটি গড়া এ দুই ব্যাটার এদিনও সাবলীলভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন। চারশ পেরিয়ে যায় দলের পুঁজি। তবে ক্যারিকে বোল্ড করে দিয়ে এ জুটি ভেঙে পাক শিবিরে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন জামাল। ৩৪ রান করেন ক্যারি।
এরপর মিচেল স্টার্কের সঙ্গে ৩৮ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মার্শ। এ জুটিও ভাঙেন জামাল। ব্যক্তিগত ১২ রানে মার্শকেও বোল্ড করেন দেন তিনি। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। আঘা সালমানের ক্যাচে পরিণত করে অজি অধিনায়ককে ফেরান জামাল। ৯ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে দলের পুঁজি বাড়াতে থাকেন মার্শ। নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিন অঙ্কের দিকে। তাকে ফেরান আরেক অভিষিক্ত পেসার খুররম শাহজাদ। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান মার্শ। ১০৭ বলে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯০ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর নাথান লায়নকে ফিরিয়ে অজিদের গুটিয়ে দেন জামাল।
পাকিস্তানের পক্ষে ১১১ রানের খরচায় ৬টি উইকেট নেন জামাল। ২টি শিকার শাহজাদের।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক গড়েন ৭৪ রানের জুটি। শফিককে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন লায়ন। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে ফ্লিক করতে গেলে লিগ স্লিপে দাঁড়ানো ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ১২১ বলে ৪২ রান করেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক শান মাসুদের সঙ্গে দলের হাল ধরেন ইমাম। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। সফল রিভিউ নিয়ে মাসুদকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন স্টার্ক। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক। ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক ক্যারির গ্লাভসে। ৪৩ বলে ৩০ রান করেন মাসুদ।
এরপর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা শাহজাদকে নিয়ে বাকীটা সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন ইমাম। ৩৮ রানের অপরাজিত রয়েছেন এই ওপেনার। শাহজাদ অপরাজিত আছেন ৭ রানে।
Comments