বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর

দলের অর্ধেকের বেশি রান সৌম্যের, ভাঙলেন শচীনের রেকর্ড

Soumya Sarkar

রাজকীয় প্রত্যাবর্তন বোধহয় একেই বলে। আগের ম্যাচে চরম ব্যর্থ হয়ে দলে যার জায়গা নিয়ে উঠেছিলো তীব্র প্রশ্ন, সেই সৌম্য সরকার দেখালেন দাপট। করলেন রেকর্ডময় এক সেঞ্চুরি। যাতে পেছনে পড়ল কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের এক রেকর্ডও।

বুধবার নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্যের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২৯১ রান করেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১৬৯ রানই সৌম্যর। এতে পেছনে পড়েছে শচীনের রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এখনো সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সৌম্যের। ২০০৯ সালে শচীনের করা ১৬৩ রান এখন নেমে গেছে দুইয়ে।

 

সৌম্যের এমন দিনেও বাকিদের ব্যর্থতায় বিশাল পুঁজি পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। 

প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে সৌম্যের ১৬৯ ছাড়া বাকি আর কেউ ১২ রানের বেশি করেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়ে নামা মুশফিকুর রহিমের ৪৫।

এই দুজন ছাড়া ২০ রানের বেশিও করতে পারেননি আর কেউ। অথচ উইকেট ছিলো ব্যাট করার জন্য ভীষণ ভালো। নেলসনের রোদ ঝলমলে দিনে কন্ডিশনও ছিলো উপযুক্ত। 

টস হেরেও ব্যাটিং পেয়ে অখুশি ছিলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সৌম্য ছাড়া উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি আর কেউ। এনামুল হক বিজয়, শান্ত আর লিটন দাস ফেরেন দুই অঙ্কের আগে। তাওহিদ হৃদয় রান আউট হন ১২ রান করে। 

স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিজয়ের বিদায়ের পর শান্ত বলের বাউন্স বুঝতে না পেরে করেন গড়বড়। লিটন আলগা শটে ফের ছুঁড়ে দেন উইকেট। হৃদয়কে কিছুটা দুর্ভাগ্যের শিকার বলতে হয়। 

এক পাশে উইকেট পতনের মাঝে দলের রানের চাকা জারি রাখেন সৌম্য। নাগালের মধ্যে বল পেলেই করেন সীমানা ছাড়া। বাকিটা সময় বলের মেধা বুঝে খেলে এগুতে থাকেন তিনি। 

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৯১ রানের জুটিতে দলের ভিত আসে। ৫৮ বলে ফিফটি পেরুনোর পর জীবন পেয়েছিলেন, তবে সামলে নিয়ে পরে এক-দুই করে এগিয়েছেন। ৯২ রানে গিয়ে আরেকবার বাঁচেন। এরপর তুলেন ঝড়। 

মুশফিক কাজ অসমাপ্ত রেখে বিদায় নিলে বাকিটা সময় দলকে একা টানতে থাকেন তিনি। ১১৬ বলে সেঞ্চুরি পেলেও। বাকি ৩৫ বলে সৌম্য যোগ করে আরও ৬৯ রান। ২২ চার, ২ ছক্কায় দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Import-export activities halted at Ctg Custom House amid NBR officials' shutdown

The suspension has caused immense sufferings to service seekers, while apparel exporters fear significant financial losses due to shipment delays

43m ago