টি-টোয়েন্টি সিরিজে ‘সাহায্য করবে’ এই জয়
এক-দুইজনের ব্যক্তিগত ঝলক নয় দল হিসেবে জ্বলে উঠার প্রত্যাশায় ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়ার পর অবশেষে মিলল দলীয় জাগরণ। তাতে এলো নিউজিল্যান্ডের মাঠে প্রথম ওয়ানডে জয়। স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে দিয়ে পাওয়া এই জয়ের থেকে পাওয়া বিশ্বাস টি-টোয়েন্টি সিরিজে কাজে লাগবে বলে আশাবাদী শান্ত।
গত ১৬ বছর ধরে কিউইদের দেশে গিয়ে একের পরে এক হার সঙ্গী হয়ে আসছিল বাংলাদেশের। ২০২২ সালে টেস্ট জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মুমিনুল হকরা। তবে ওয়ানডেতে সেই হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছিল দল।
ওদের দেশে এবারের দুটি সহ টানা ১৮ ম্যাচ হেরে বিব্রতকর এক পরিসংখ্যান অস্বস্তি দিচ্ছিলো বাংলাদেশ দলকে। শনিবার নেপিয়ারে সেটাতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়া গেছে। পেসের ঝাঁজে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে মিলেছে ৯ উইকেটের বিশাল হয়। এড়ানো গেছে হোয়াইওয়াশ, এতে পাওয়া গেছে বিশ্বাসও। নিউজিল্যান্ডের মাঠে সাদা বলে জেতা যায়, এইটুকু জেনেছেন ক্রিকেটাররা।
ওয়ানডে সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে পাওয়া জয় থেকে এখন সফরের বাকি সময়টা আলোয় ভরপুর করে নেওয়ার ইচ্ছা শান্তর। ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে তাই ইতিবাচক কিছুর আশা দেখছেন তিনি, 'এই ম্যাচ আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে। তবে টি-টোয়েন্টি ভিন্ন সংস্করণ। আমাদের সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।'
তবে শান্ত ঠিকই জানেন প্রেরণা দিয়ে ম্যাচ জেতা সম্ভব না। সেজন্য চাই পরিকল্পনা আর প্রস্তুতির নিখুঁত সমন্বয়, 'মোটিভেশন দিয়ে খুব বেশি ম্যাচ জেতা যায় না। আমরা কতটা ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং জিততে চাই কিনা এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুই দিন প্রস্তুতির সুযোগ আছে।'
'জেতার যে মন মানসিকতা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো খেলবে সেই জিতবে, এখানে বড় দল, ছোট দল আমার কাছে ম্যাটার করে না। খুব বেশি মোটিভেশনের দরকার নাই। এই ম্যাচ জিতেছি দেখে অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়ারও দরকার নাই। এই ম্যাচটা সাহায্য করবে যে এখানে এসেও আমরা জিততে পারি, এই বিশ্বাসটা থাকবে। কারণ আমরা নিজের চোখে দেখলাম। এই বিশ্বাস নিয়ে যদি টি-টোয়েন্টিতে যাই, ভালো পরিকল্পনা করি, প্রস্তুতি নেই জেতা সম্ভব।'
বুধবার নেপিয়ারেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামী শুক্র (২৯ ডিসেম্বর) ও রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) শেষ দুই টি-টোয়েন্টির ভেন্যু মাউন্ট মঙ্গানুই। প্রথম দুই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া বারোটায়, শেষ ম্যাচ সকাল ৬টায়।
Comments