বলছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু

‘যে কয়দিন বাঁচব, ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকব’

Minhajul Abedin Nannu

১০ বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের নির্বাচক পদে আছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। প্রায় ৮ বছর ধরে আছেন প্রধান নির্বাচক পদে। আভাস আছে চলতি বছর মেয়াদ শেষ হলে আর নতুন চুক্তি করা হবে না তার সঙ্গে। তবে নির্বাচক ভূমিকায় না থাকলেও ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকবেন তিনি।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে নির্বাচক কমিটির মেয়াদ। তবে এখনো পরিষ্কার নয় তাদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে কিনা। জাতীয় নির্বাচনের পর বোর্ড সভায় এই ব্যাপারে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।

তার আগে মঙ্গলবার নিজের বাসায় গণমাধ্যমকে মিনহাজুল জানান তাদেরকে এখনো কিছু জানায়নি বিসিবি, 'আমাদের প্রতি বছর এভাবেই যাচ্ছে, দশ বছর ধরে কাজ করছি। কোন সময় বলে নাই চুক্তি শেষ। বোর্ড মিটিং ছাড়া এটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এমনও হয়েছে এক বছর কাজের পর চুক্তি সই হয়েছে। বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হবে রাখবে কি রাখবে না।'

একটা গণমাধ্যমে খবর বের হয় নির্বাচক না থাকলে ম্যাচ রেফারি হতে পারেন মিনহাজুল। নির্বাচক হওয়ার আগে কোচের ভূমিকাতেও ছিলেন তিনি। কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা সময়ের উপর ছেড়ে দিলেন তিনি, তবে যেটাই করেন ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকার ইচ্ছা তার,  'নির্বাচকের আগে আমি লেভেল থ্রী করা কোচ। আমার ওদিকেও চিন্তা ভাবনা আছে। খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে সময় পার করেছি। বাকি জীবন বেশিরভাগ সময় ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকব। আমি কি করব এটার সিদ্ধান্তটা আমার।'

'তখন (যদি মেয়াদ না বাড়ে) আমি পরিকল্পনা করব। বোর্ড তো আমাকে কিছু জানায়নি। মাননীয় বোর্ড সভাপতি যখন আমাকে বলবেন কন্টিনিউ করছি না তখন আমি ভাবব। আমাকে তো কিছু করতে হবে। কারণ ক্রিকেট নিয়ে তো সারাজীবন পার করে দিয়েছি। যে কয়দিন বাঁচব কিছু তো করে যেতে হবে, ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকব।'

নিজের আরেকটি মেয়াদ শেষের বেলায় আশাবাদী সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি মনে করেন আগামী তিন-চার বছরে দল একটি ভালো অবস্থায় চলে যাবে,  'এক বছরের মূল্যায়ন করলেই হবে না। চার-পাঁচ বছর দেখতে হবে। সফলতা অবশ্যই আছে, ব্যর্থতাও আছে। সব মিলিয়ে মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে দল।'

'আমার মনে হয় এবার যে প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে আগামী তিন-চার বছর পর দল একটা ভালো জায়গায় চলে যাবে।'

৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ করে যাবে বর্তমান কমিটি।

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

51m ago