অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজ

কামিন্সের ৫ উইকেটের পর মার্শ-স্মিথের ব্যাটে শক্ত অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া

মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে হাতে ৪ উইকেট রেখে ২৪১ রানের লিড নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে নামা পাকিস্তানকে ২৬৪ রানে আটকে ৫৪ রানের লিডের পর আরও ১৮৭ রান যোগ করেছে তারা।
Mitchell Marsh
৯৬ রানের ইনিংসের পথে মিচেল মার্শ।

আগের দিনের দারুণ বোলিং এদিন সকালেও টেনে আনলেন প্যাট কামিন্স। পাকিস্তানকে বেশি দূর আগাতে দিলেন না তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে শাহিন আফ্রিদি আর মির হামজার পেসের ঝাঁজে পড়েছিলো অস্ট্রেলিয়াও। তবে দলের চাপে দাঁড়িয়ে যান স্টিভেন স্মিথ আর মিচেল মার্শ। তাদের ব্যাটে শক্ত অবস্থানে চলে গেছে স্বাগতিকরা।

মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে হাতে ৪ উইকেট রেখে ২৪১ রানের লিড নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে নামা পাকিস্তানকে ২৬৪ রানে আটকে ৫৪ রানের লিডের পর আরও ১৮৭ রান যোগ করেছে তারা।

বৃষ্টিতে কিছুটা দেরিতে শুরু হওয়া দিনে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন কামিন্স। ৫১ বলে ৪১ করে থিতু হওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর আমির জামালকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শাহিন।

২৮ বলে ২১ করা শাহিনের বিদায়ে ভাঙে ২৫ রানের জুটি। জামাল টিকেছেন শেষ পর্যন্ত। তার ৩৩ রানের ইনিংসে মূলত আড়াইশ পার হয় পাকিস্তান। বাকিদের তুলে নিয়ে সফরকারী ইনিংস মুড়ে দেন কামিন্স আর ন্যাথান লায়ন।

৫৪ রানের লিড পেয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আঘাত দেন শাহিন। তার বলে কট বিহাইন্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান উসমান খাওয়াজা। তৃতীয় ওভারে মারনাশ লাবুশানেকেও ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি পেসার। 

আরেক প্রান্তে মির হামজাও তখন বেশ আগ্রাসী। লাঞ্চের পর ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রেভিস হেডকে পর পর তুলে নেন তিনি। ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। এই বিপদ আরও বাড়তে পারত। হামজার বলে ২০ রানে থাকা মার্শের ক্যাচ ছেড়ে দেন আব্দুল্লাহ শফিক।

জীবন পেয়ে মার্শ হয়ে উঠেন আগ্রাসী। স্মিথের সঙ্গে জমে উঠে জুটি। হামজার বলেই তিনি শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে আউট হয়েছেন। তবে জুটিতে ততক্ষণে এসে গেছে ১৫৩ রান।

মার্শের পর ফিফটি করে থামেন স্মিথও। তবে এখনো কিছুটা ব্যাটিং বাকি থাকায় অস্ট্রেলিয়া আছে স্বস্তিতেই।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

51m ago