আরও দাপটের সঙ্গে খেলার আশা হৃদয়ের
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্স পেরিয়ে বছরের শেষ দিকে যেন বেশ উজ্জ্বল বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে দুই ফরম্যাটে মিলেছে ইতিহাস গড়া দুই জয়। বছরের একদম শেষ দিনটাও রাঙানোর আশা নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। দলের হয়ে কথা বলতে এসে তাওহিদ হৃদয় জানান, যে ছন্দটা তারা পেয়েছেন সেটা ধরে সামনের দিনগুলোতে দেখাবেন আরও দাপট।
বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে একটা টেস্টে হারায় বাংলাদেশ। পরের টেস্ট হেরে জিততে পারেনি সিরিজ। পরে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রথম দুই ওয়ানডে হারলেও তৃতীয়টি জিতে গড়ে ফেলে ইতিহাস। সাদা বলের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের মাঠে এর আগে খেলা ২৭ ম্যাচে ছিলো না কোন জয়।
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিকদের হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় এখনো পর্যন্ত সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
৩১ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইতে শেষ ম্যাচটা জিতলে কিউইদের মাঠে যেকোনো সংস্করণে প্রথম সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসবেন ক্রিকেটাররা। হৃদয় জানান নিজেদের ছন্দ ধরে রেখে সেই কাজটা করতে উদগ্রীব গোটা দল, 'চিন্তা ভাবনা আগের ম্যাচগুলোতে যেমন ছিলো, এখনো একই আছে। এটা ভালো সুযোগ। নিজেদের যে সম্ভাবনা আছে সেটা কাজে লাগানোর। আশা করি যে ফ্লোতে আছে, সেটা চালিয়ে যাব।'
চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে এসেছে ১০ জয়, ২ হার। আরেকটির ফল হয়নি। ১৩ ম্যাচের মধ্যে আছে অবশ্য এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলা তিন ম্যাচও।
এই বছর ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের স্মৃতি আছে। এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলে আলোয় রাঙা হয় সব। হৃদয়ের আশা হবে তেমনটাই। আর টি-টোয়েন্টিতে এই শুরুটাই তারা ধরে এগুবেন নতুন দিনের খোঁজে, 'এখন পর্যন্ত অনেক ভালো। দল যখন ফল করে সব ভালো থাকে। সবাই সবাইকে সমর্থন করে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে যারা আছি সবাই মনে করে আমরা পারব। গত কিছু দিন এই ফরম্যাটে ভালো করছি, আশা করছি এবারও ভালো করব।
'আমরা বিশ্বাস করি এটা আমাদের শুরু। সামনে আরও ভালো করব। আরও দাপটের সঙ্গে খেলব'
আসছে বছরে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজের পর আর দুই সিরিজ আছে। এখন থেকে সবগুলো ম্যাচই তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ দলের, 'আমাদের সবগুলো ম্যাচই এখন গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেশি সময় নেই। আর আমাদের হাতে অনেক ম্যাচ আছে, সেটাও না। সামনে হয়ত বিপিএল আছে, এরপর দু'একটা সিরিজ আছে। তো আমাদের প্রত্যেকটা প্লেয়ারের জন্য ম্যাচ অনেক বড় সুযোগ। আমরা চেষ্টা করব সুযোগ কাজে লাগানোর। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, আমার মনে হয় সবাই এটা জানে। সেভাবে সবাই কাজ করছে।'
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে জেতানো লিটন দাস আছেন পেশির চোটে। পরিত্যক্ত হওয়া দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাকে পায়নি দল। শেষ ম্যাচেও লিটনকে নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। লিটন খেলতে না পারলেও বাকিরা পুষিয়ে দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস হৃদয়ের, 'যেহেতু দাদা (লিটন) ভালো একটা ছন্দে ছিল...এখন ইনজুরি তো কারো হাতে নেই। ওনার আপডেট কী সেটাও আমি জানি না। এটা ফিজিও বা কোচরা ভালো বলতে পারবে। যদি উনি আমাদের দলে নাও থাকে, আমাদের যা আছে সেটা নিয়ে আমাদের খেলতে হবে।'
'আর টি-টোয়েন্টি খেলা , ২-৩ জনের খেলা। যদি আমাদের ২-৩ জন ব্যাটার ভালো শুরু করে দেয় তাহলে আমরা ইনশাআল্লাহ সেটা ভালো খেলব।'
Comments