বিপিএল ২০২৪

বিশ্বকাপ মাথায় রেখে বিপিএলে ফিট থাকাই শরিফুলের মূল লক্ষ্য

Shoriful Islam
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

গত ক'মাস দারুণ কেটেছে শরিফুল ইসলামের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সংস্করণেই আলো ছড়িয়ে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে বিপিএলে তাকে নিয়ে আগ্রহ অনেকের। তবে বিপিএলেও শরিফুলের মাথায় ঘুরছে জাতীয় দলের ভাবনা। এই আসরে খেলার সময় ফিট থাকাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেবেন তিনি।

২০২৩ সালে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫২ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে সামলেছেন পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব।

নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে সপ্তাহ খানেকের বিশ্রাম পেয়েছিলেন তিনি। ফুরফুরে হয়ে সোমবার থেকে নামেন অনুশীলনে। শরিফুল এবার বিপিএলে খেলবেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরগুলোতে নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার তাড়না থাকে বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই। তবে চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় ফিটনেস চিন্তা পেয়ে বসেছে তাকে। খেলতে চান সতর্ক থেকে,   'গত বছরটা আমার খুব ভালো গেছে, বিশেষ করে শেষ ৬-৭ মাস। নতুন বছরে বিপিএল দিয়েই ক্রিকেটে ফিরব। চেষ্টা থাকবে সেই ছন্দ ধরে রাখার। যতটা ফিট থেকে খেলা যায়, সে চেষ্টাও থাকবে। কারণ, সামনে দেশের হয়ে অনেক খেলা আছে। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।'

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর হওয়ায় এবারের বিপিএলে স্কিলের দিক থেকে ধার বাড়ানোর মিশনও। বিপিএলে ছন্দ দেখিয়ে তাই বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে তৈরি করতে চান তিনি, 'বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। যেহেতু সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমাদের এটিই (মূল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সবাই চাইবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে পারফর্ম করতে, আর নতুন কিছু করতে। এটা বিশ্বকাপেও আমাকে সাহায্য করবে।'

শরিফুল যে দলের হয়ে বিপিএল খেলবেন কাগজে কলমে তাদের তলানির দলই বলতে হয়। দেশি-বিদেশি বড় তারকার সমাবেশ না থাকার পরও একদম হতাশ নন শরিফুলরা,  'আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে চারে ওঠা। সুপার ফোরে (প্লে–অফে) উঠতে পারলে আমরা ফাইনালের চিন্তা করব। আমাদের দলে আমি আছি, সৈকত (মোসাদ্দেক হোসেন) ভাই আছে, তাসকিন ভাই আছে, ইরফান শুক্কুর ভাই আছে, সাইফ হাসান আছে, নাঈম শেখ আছে; দেশি প্লেয়াররা আমরা যদি ভালো করি, কিছু কিছু ম্যাচে উইনিং পারফরম্যান্স করি, তাহলে আমরা ভালো করব।'

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

9h ago