বিপিএল ২০২৪

বিজয়ের মতে তাদের এমন জয় টুর্নামেন্টের ‘হাইপ’ তৈরি করবে

মিরপুরে সোমবার দিনের ম্যাচে ব্যাটাররা রান পেতে ধুঁকলেও রাতে হয়েছে ৩৭৫ রান। বরিশালের ১৮৭ রান ১২ বল আগেই পেরিয়ে ৮ উইকেটে জিতে যায় খুলনা।
Anamul Haque Bijoy
খুলনা টাইগার্সকে ম্যাচ জেতানোর পর এনামুল হক বিজয়। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মূলত বড় রান দেখতে মাঠে আসেন দর্শকরা। শুরুর দিকে বিপিএলে সেই বড় রানের দেখা, চার-ছক্কার ঝলক বেশিরভাগ ম্যাচে মিলছিল না। সোমবার রাতে ফরচুন বরিশালের বড় রান সহজেই তাড়া করে জেতা খুলনা টাইগার্সের জয়কে তাই আসর জমানো মনে হচ্ছে এনামুল হক বিজয়ের। খুলনা অধিনায়ক বললেন, এমন জয় পুরো টুর্নামেন্টের একটা হাইপ তৈরি করবে।

মিরপুরে সোমবার দিনের ম্যাচে ব্যাটাররা রান পেতে ধুঁকলেও রাতে হয়েছে ৩৭৫ রান। বরিশালের ১৮৭ রান ১২ বল আগেই পেরিয়ে ৮ উইকেটে জিতে যায় খুলনা।

এই ম্যাচের পর বিপিএলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করছেন রান তাড়ায় ৪৪ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকা বিজয়,  'টুর্নামেন্টে কিন্তু এত রান এখনো হয়নি। এমন ম্যাচে জয় বা হার, ফল যা-ই হোক না কেন, এটা কিন্তু টুর্নামেন্টে একটা হাইপ তৈরি করে। আমি মনে করি, আজকের ম্যাচটা পুরো টুর্নামেন্টে একটা হাইপ তৈরি করবে। আমি আশা করি, এমন একটা ম্যাচ হচ্ছে, সবাই দেখতে আসবে। ভালো ফিল করবে।'

ম্যাচের আগে অনেকে হয়ত বরিশালকেই এগিয়ে রাখছিলেন। অভিজ্ঞতায় ভরপুর ছিলো দলটি। দেশের ক্রিকেটের তিন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন। আছেন অভিজ্ঞ পাকিস্তানি শোয়েব মালিক। বিজয়ের মতে অবশ্য প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের নাম দেখে চিন্তা করেননি তারা, আস্থা রেখেছেন নিজেদের সামর্থ্যের উপর,  'একটা দলে যখন খেলি, তখন ব্যাট-বলের লড়াইটা সব সময় চলতে থাকে। আমরা কোন নামের বিচারে যাই না। বড় দল, ছোট দলের চিন্তা অধিনায়ক হিসেবে করি না, দলও করে না। চিন্তা করে ভালো জায়গায় বল করাটা সবার জন্য ভালো। খারাপ বলটা সবার জন্য খারাপ। অবশ্যই নামের বিচারে তাঁরা অনেক এগিয়ে। মুশফিক ভাই সেরা, রিয়াদ ভাই আছেন, তামিম ভাই অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। অবশ্যই তাদের বিপক্ষে জেতার পর ভালো লাগা কাজ করবে। আমি মনে করি খুলনার আত্মবিশ্বাসে এই জয় কাজে দেবে। সব মিলিয়ে বিপিএলের জন্য একটা দারুণ হাইপ তৈরি হবে।'

এদিন খুলনার জয়ে মূল ভূমিকা ক্যারিবিয়ান এভিন লুইসের। রান তাড়ায় স্রেফ ২২ বলে ৫৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যান তিনি। তবে তার আউটের পর পথ হারাতে পারত খুলনা। সেটা হতে দেননি বিজয়। আফিফ হোসেন ও শেই হোপকে নিয়ে অনায়াসে শেষ করেছেন ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ১২২ রান তাড়া করতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল খুলনাকে। এবার সেটাও ছিল তাদের মাথায়,  'আমরা আমাদের শেষ ম্যাচটা নিয়ে অনেক কথা বলেছি, চট্টগ্রামের সঙ্গে যে ম্যাচটা ছিল। আমাদের কাছে একটা শেখার বিষয় ছিল সেটা। আমরা খেলাটাকে ছয় উইকেটে নিয়ে গিয়েছি। অনেক পরে গিয়ে জিতেছি। আমাদের এই আলোচনা ছিল, পরে যদি এমন সুযোগ আসে তাহলে আমাদের যেন দুই বা তিন উইকেট পড়ে। আমাদের শেষ ম্যাচের ওই আলোচনাটা বেশ কাজে দিয়েছে, যখন লুইস আউট হয়ে যায়।'

'আফিফের সঙ্গে একটাই কথা হয়েছে-আমরা খেলাটা গভীরে নিয়ে যাই। আরেকটু লম্বা করি। আমরা ঝুঁকি না নেই। এক-দুই রানে চলতে থাকুক। বাজে বল এলে সেটা কাজে লাগাব। এই পরিকল্পনাই ছিল, ম্যাচটাকে ধৈর্যসহ আরেকটু গভীরে নিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া মনে হয় না যে আমরা আর কিছু করেছি।'

দুই ম্যাচ খেলে দুই জয় নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে খুলনা।

Comments

The Daily Star  | English
quota reform movement,

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of the people who died during the student-led mass protests in July and August.

4h ago