'তখন হার্ট রেট ১৮০ এর উপরে ছিল সবার'
উইকেট খুব বাজে ছিল না, তা বলে গেলেন সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। রংপুর রাইডার্স পেসার হাসান মাহমুদও বললেন প্রায় একই সুরে কথা। কিন্তু তারপরও ১২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় হার দেখে ফেলেছিল রংপুর রাইফার্স। তবে বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে রক্ষা পায় দলটি। তবে সেই সময়ের দলের সবার হার্টবিট বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান হাসান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। এরপর চতুর্থ ও পঞ্চম ওভারেও একটি করে উইকেট হারায় দলটি। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় সপ্তম ওভারে। সে ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নেন শ্রীলঙ্কান লেগস্পিনার দুশান হেমন্থ। ফলে ৩৯ রানেই হারায় ৬টি উইকেট। এরপর আর একটি উইকেট হারালেই লেজ বেরিয়ে আসতো দলটির।
ঠিক সে সময়ে ড্রেসিং রুমে কি পরিস্থিতি ছিল তা জানতে চাওয়া হয় হাসানের কাছে। কিছুটা শঙ্কিত কণ্ঠেই বলেন, 'তখন তো হার্ট রেট বলতে গেলে ১৮০ এর উপরে ছিল সবার।'
তবে ক্রিকেটে এমনটা হতে পারে বলেই মনে করেন হাসান, 'আসলে এটা ক্রিকেটে হয়েই থাকে। এক ওভারে দুই তিনটা উইকেট পড়তেই পারে। বাট ঐ চাপটা নিয়ে দুজন ব্যাটার কন্টিনিউ করছে এটা আমাদের জন্য পজটিভ সাইন।'
৩৯ রানে ৬ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট হারায়নি রংপুর। এরপর আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাছে নামেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাবর। সপ্তম উইকেটে শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ দুই ব্যাটার।
এমন ইনিংসের জন্য বাবরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন হাসান, 'আমি বলবো সে (বাবর) দারুণ খেলেছে। গেম সিসুয়েশন রিড করা, ও নিজের রোলটাই প্লে করছে আজকে। একপাশ থেকে উইকেট পড়ছিল আরেক পাশে ও নিজের বেস্টটা দিচ্ছিল। সিঙ্গেল কন্টিনিউ করছিল মানে ও খেলাটা গুছিয়ে নিয়েছিল।'
Comments