এটা বাবরের জন্য আইডিয়াল ম্যাচ ছিল: মাশরাফি
আর একটি উইকেট ফেলতে পারলেই রংপুর রাইডার্সের লেজ বেরিয়ে আসতো। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো। কিন্তু সে সময় আফগান ক্রিকেটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন বাবর আজম। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানের হয়ে একশর উপরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার।
তবে মাত্র ১২১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে এমন পরিস্থিতিতে আসাও কঠিন ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য। ইনিংসের সপ্তম ওভারে করা দুসান হেমন্থের ঘূর্ণিজাদুতেই সব সম্ভব হয়েছে। সে ওভারে তিনটি উইকেট নেন এই লঙ্কান লেগস্পিনার। এরপর আজমতউল্লাহর সঙ্গে বাবরের প্রতিরোধ। তখন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কাছ জাদুকরী কিছু দেখার অপেক্ষায় ছিল সবাই।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন কিছুই হয়নি। রংপুরের সপ্তম উইকেট জুটির কাছেই হেরে যায় তারা। দেখে শুনে ব্যাটিং করে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বাবর ও ওমরজাই। আর কেন পেরেছেন তার একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মাশরাফি, 'ওর (বাবর আজম) জন্য এটা খুব আইডিয়াল ম্যাচ ছিল। কারণ, রানে বল খেলা ওর জন্য খুব সহজ। এই কাজে ও মাস্টার, আমার কাছে মনে হয়।'
তবে স্কোরবোর্ডে আর কিছু রান থাকলে বাবরের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যেত বলে মনে করেন সিলেট অধিনায়ক, 'রানটা যদি ১৪০ হতো তখন ওর জন্য খুব ডিফিকাল্ট হতো। ওর ব্যাটিংয়ের যে ধরন যদি ১২০ বলে ১২০ করা এক হিসাব, ১৪০ করা তখন আরেক হিসাব। মাঝখানের ওভারে ৩-৪ করে তিন-চারটা ওভার দেওয়া যেত তাহলে ও প্রেশার ফিলটা করতে পারত। যেটা হয়তোবা আমরা পারি নি।'
বাবরের জন্য আদর্শ পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের ব্যর্থতার কথাও বলেন অধিনায়ক, 'যে সিচুয়েশন ছিল, অবশ্যই বাবর আজম এক্সপেরিয়েন্স প্লেয়ার এমন না যে ও হিট করে ম্যাচ জেতাবে… আমরা অপনেন্টকে আমরা চ্যালেঞ্জ দিতে পারিনি। ওইখান থেকে একটা উইকেট নিতে পারলে টেল বেরিয়ে যেত।'
'স্ট্রাইক রোটেড করতে না পারলে ওকে শটস খেলতে হতো তখন মিস্টেকস হতো। বাবর আজম ও রকম শটস খেলা প্লেয়ার না যে আসলে গেম শটস খেলে চেঞ্জ করে দিবে।ওই প্রেশারটা আমরা কোনো দিক থেকে রাখতে পারিনি,' যোগ করেন মাশরাফি।
Comments