আইসিসির বর্ষসেরা 'ইমার্জিং ক্রিকেটার' রাচিন
গত বছরটা দারুণ কেটেছে নিউজিল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রর। বিশেষ করে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পেয়েও আলো ছড়ান এই তরুণ। তার স্বীকৃতিও পেলেন তিনি। আইসিসির বর্ষসেরা 'ইমার্জিং ক্রিকেটার' নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার।
এই পুরস্কার জয়ের পথে পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েটজি, শ্রীলঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা ও ভারতের ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়ালকে। ভারত বিশ্বকাপে তার করা ৫৭৮ রানই এগিয়ে দেয় তাকে। সবমিলিয়ে ২০২৩ সালে ৪১ ম্যাচে ১০৮.০৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৮২০। এছাড়া ৪৬.৬১ গড়ে ওভার প্রতি ৬.০২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। আর ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৮.২০ গড়ে ১৩৩.৮২ স্ট্রাইক রেটে করেন ৯১ রান। সঙ্গে ওভার প্রতি ৯.১১ রান দিয়ে ৩২.৮০ গড়ে পেয়েছেন ৫টি উইকেট।
বর্ষসেরা ইমার্জিং ক্রিকেটার হয়ে স্বাভাবিকভাবেই দারুণ উচ্ছ্বসিত রাচিন, 'অবশ্যই এটা বিশেষ অনুভূতি। যখন আপনি আইসিসির কোনো স্বীকৃতি পাবেন সেটা অবশ্যই বিশেষ কিছু। গত বছরটা খুব সুন্দর ছিল এবং বিভিন্ন পরিবেশে এত বেশি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাওয়াও বিশেষ কিছু।'
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগেই অভিষেক হলেও গত বছরের মার্চে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় রাচিনের। অভিষেকেই ৪৯ রানের ইনিংস খেলে নজর কাড়েন তিনি। এরপর পাকিস্তান সিরিজে জ্বলে উঠেন আপন মহিমায়। তিন ম্যাচে সুযোগ পেয়ে খেলেন ৫৩, ৭৫ ও ৬৫ রানের ইনিংস। তখন থেকেই একাদশে নিয়মিত এই অলরাউন্ডার। এরপর ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ সিরিজেও জ্বলে ওঠে তার ব্যাট।
এছাড়া আইসিসির বর্ষসেরা অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের অলরাউন্ডার বাস ডি লিড। বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব উতরে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ায় অন্যতম ভূমিকা ছিল তার। মূল টুর্নামেন্টেও খেলেছেন দারুণ। ২৬.৪১ গড়ে নিয়েছেন ৩১ উইকেট। ব্যাট হাতে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ৪২৪ রান।
Comments