ঢাকাকে উড়িয়ে খুলনার টানা চার
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার রীতিমতো উড়ছে খুলনা টাইগার্স। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই দারুণ জ্বলে উঠছে তারা। সে ধারায় এবার দুর্দান্ত ঢাকাকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে দলটি। এ নিয়ে টানা চারটি ম্যাচ জিতে নিল এনামুল হক বিজয়ের দল।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে ঢাকা। জবাবে ৩২ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে খুলনা।
অথচ টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে কী দারুণ শুরুই না করেছিল ঢাকা। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সিয়াম আইয়ুবের ব্যাটে ৯ ওভারেই ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে দলটি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে এর পরের ১১ ওভারে মাত্র ৫৫ রান যোগ করে দলটি। মূলত এখানেই হেরে যায় তারা।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। ২১ বলের ইনিংসটি সাজাতে ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন এই ওপেনার। আফিফের বলে এক্সট্রা কভারে লুইসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর স্কোরবোর্ডে আর ২ রান যোগ হতে শানাকার বলে আউট হয়ে যান সিয়ামও। কিছুটা দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে ৩৭ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর কোনো ব্যাটারই হাল ধরতে পারেননি। আলেক্স রস কিছুটা চেষ্টা চালান। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে। শেষ দিকে ১৫ রান করেন আরাফাত সানি।
খুলনার পক্ষে ৪ ওভার বলে করে ১৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন নাওয়াজ। ২টি করে উইকেট নেন ওয়াসিম ও মুকিদুল ইসলাম।
সাদামাটা লক্ষ্য পেলেও শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাট চালান লুইস। মাত্র ১৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংস খেলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ক্যারিবিয়ান। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন বিজয়। আফিফের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন খুলনা অধিনায়ক।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। ৪৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৭ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
Comments