বিশ্বকাপে চোখ খালেদের
প্রথম ম্যাচে সহজ জয় পেলেও এরপর টানা তিন হার। জয়ের কাছে গিয়েও হারতে হচ্ছিল তাদের। জয়ে ফিরতে টিম কম্বিনেশনে অনেক বদলই আনে তারা। বাদ পড়তে হয় সৈয়দ খালেদ আহমেদের মতো জাতীয় দলের পেসারকেও। তবে এক ম্যাচ বিশ্রাম শেষে আগের দিন ফিরেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করে দলের জয়ে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।
সিলেটের বিপক্ষে আগের দিন ২৯ রানের খরচায় নেন ২টি উইকেট। তাতে এবারের আসরে সবমিলিয়ে তার উইকেট হলো ৭টি। সর্বাধিক উইকেটশিকারির তালিকায় উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। তবে এখানে থেমে থাকতে চান না এই পেসার। বিপিএলে এবার সবচেয়ে বেশি উইকেট নিতে চান। আর সেই পারফরম্যান্সে জায়গা করে নিতে চান আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে অবশ্য ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে খেলে থাকেন খালেদ। ২০১৮ সালে অভিষেকের পর খেলেছেন ১২টি টেস্টে। তবে এরমধ্যে খেলেছেন ২টি ওয়ানডে ম্যাচও। কিন্তু কখনোই টি-টোয়েন্টিতে খেলা হয়নি তার। এবার সেই আক্ষেপটাও ঘোচাতে চান তিনি।
নিজের পরিকল্পনা নিয়ে খালেদ বললেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বলা হয় ব্যাটারদের খেলা। আমরা বোলার যারা আছি, চেষ্টা থাকে সবসময় ভালো বল করা এবং ব্যাটার যাতে মারতে না পারে। সামনে যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমি তো টেস্টই বেশি খেলি। আমার চেষ্টা থাকবে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার। এখন হয়তো দুই নম্বরে আছি চেষ্টা থাকবে টুর্নামেন্ট শেষে যেন আমি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে পারি।'
নিজের শেষ ম্যাচটা ভালো না গেলেও ঘুরে দাঁড়াতে পেরে আত্মবিশ্বাসী এই পেসার, 'শেষ ম্যাচটা ভালো যায়নি এটা না। আমি প্রথম তিন ওভার ভালো বোলিং করেছি, শেষ ওভারটা ফিফটি-ফিফটি ছিল হয়তো। কিন্তু ব্যাটারের দিকে চলে গেছে, আমার পরিকল্পনায় কিছু ভুল ছিল। পরের ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছি। আমার চিন্তা করার সময় ছিল। এরপর বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি, উনারা আমাকে একটা নির্দেশনা দিয়েছে আমি সেই অনুযায়ী অনুশীলন করেছি। আজকে একটু হলেও হয়েছে।'
Comments