অবসর ভেঙে ফেরার ইঙ্গিত ইমাদের

দলের প্রয়োজনে যদি অবসর ভেঙ্গে ফিরতে হয় তবে তা করবেন বলে জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ছবি: আইসিসি

পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জানার পরও গত নভেম্বরে হুট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে মাস তিনেক যেতেই সূর বদলে ফেলেছেন তিনি। স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই পাকিস্তানি।

ইমাদের অবসর তখন সবাইকেই অবাক করেছিল। কারণ ক্রিকেট পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেয়েছিলেন তিনি। যদিও অবসর নিয়ে কোনো আক্ষেপও নেই ইমাদের। তবে দলের প্রয়োজনে যদি অবসর ভেঙ্গে ফিরতে হয় তবে তা করবেন বলে জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

স্থানীয় নিউজ পোর্টালে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে ইমাদ বলেন, 'হ্যাঁ, কখন কী হয় বলা যায় না। তবে আমি এটাও বলছি, যে সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি আমি সে সিদ্ধান্তে শতভাগ সম্মত ছিলাম এবং দিনশেষে এটা ছিল শুধুই আমার সিদ্ধান্ত। তবে বলা যায় না কখন পাকিস্তানের আমাকে দরকার হয়। সেক্ষেত্রে কিছু একটা তো করতে হবে।'

তবে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলেই ফিরবেন বলে জানান তিনি, 'আমার ভূমিকা কি হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা চাই। আমি অধিনায়কত্ব চাই না, কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে মর্যাদা চাই। দল নিয়ে সিনিয়র ক্রিকেটাররা কী ভাবছে বা দলটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চাইছে এসব তো গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।'

মানসিকভাবে ঠিক ছিলেন না বলেই তখন অবসরে গিয়েছিলেন, 'আমি সব জায়গায় ক্রিকেট খেলে যাচ্ছি। অবসরের আগেও খেলতাম। আশা করছি, সামনে ভালো কিছু হবে। মানসিক দিক থেকে আমি ঠিক ছিলাম না। যদি থাকতাম, আমি এমন সিদ্ধান্ত নিতাম না। জীবনে সবকিছুই হতে পারে। তবে আমি কখনো ফিরব না, এটা ভেবেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নিশ্চিত নই, জীবন আমার জন্য কী রেখেছে।'

বর্তমানে আইএল টি-টোয়েন্টি লিগে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছেন ইমাদ। ২০১৫ সালে অভিষেকের পর জাতীয় দলের হয়ে রঙিন জার্সিতে মোট ১২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বেশি। ৬৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৬৫ উইকেটের সঙ্গে ৪৮৬ রান করেন। আর ৫৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪৪টি উইকেট নেওয়ার সঙ্গে রান করেছেন ৯৮৬।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago