শততম টি-টোয়েন্টিতে ওয়ার্নারের ব্যাটে ঝড়, জিতল অস্ট্রেলিয়া

লক্ষ্য তাড়ায় ব্র্যান্ডন কিং ও জনসন চার্লস দারুণ শুরু আনলেন। কিন্তু পরের ব্যাটাররা দায়িত্ব নিতে পারলেন না। জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ক্যামিও কেবল ক্যারিবিয়ানদের হারের ব্যবধানই কমাল।
ছবি: সংগৃহীত

শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ডেভিড ওয়ার্নার জ্বলে উঠে করলেন ফিফটি। শেষদিকে টিম ডেভিড ঝড় তুললে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সংস্করণে রেকর্ড সংগ্রহ গড়ল অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য তাড়ায় ব্র্যান্ডন কিং ও জনসন চার্লস দারুণ শুরু আনলেন। কিন্তু পরের ব্যাটাররা দায়িত্ব নিতে পারলেন না। জেসন হোল্ডারের অপরাজিত ক্যামিও কেবল ক্যারিবিয়ানদের হারের ব্যবধানই কমাল। দারুণ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অজিরা।

শুক্রবার হোবার্টে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১১ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান তোলে তারা। জবাবে পুরো ওভার খেলে সফরকারীরা করতে পারে ৮ উইকেটে ২০২ রান।

স্রেফ ৩৬ বলে ৭০ রানের ইনিংসে তাণ্ডব চালান ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ওয়ার্নার। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ১ ছক্কা। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা সামর্থ্যের ছাপ রাখেন। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। কিং ও চার্লসের ওপেনিং জুটির ইতি টানার পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেন তিনি। তাকে প্রয়োজনীয় সঙ্গ দেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। ৩ ওভারে ২০ রানে তিনি পান ২ উইকেট।

শুরু থেকেই ক্যারিবিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হন অভিজ্ঞ ওয়ার্নার। পেসার হোল্ডারের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে চারটি চার মারেন তিনি। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে হাঁকান একটি করে চার ও ছক্কা। ওই ওভারে আসে ১৭ রান।

চতুর্থ ওভারে অজিদের সংগ্রহ ৫০ ছাড়িয়ে যায়। আরেক ওপেনার ইংলিসও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে পাওয়ার প্লেতে রানের বন্যা বইতে থাকে। ৬ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে বিনা উইকেটে ৭৭ রান। মিলে যায় বড় পুঁজির জন্য কাঙ্ক্ষিত শক্ত ভিত।

মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান বাঁহাতি তারকা ওয়ার্নার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ২৫তম ফিফটি। নামের পাশে সেঞ্চুরিও রয়েছে একটি। এই ম্যাচ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার কীর্তি গড়েন তিনি। বাকি দুজন হলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

অষ্টম ওভারে ভাঙে ৯৩ রানের বিস্ফোরক উদ্বোধনী জুটি। আক্রমণে ফিরে স্লোয়ার ডেলিভারিতে ইংলিসকে বিদায় করেন হোল্ডার। ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৯ রান করেন ইংলিস। ২৫ বল খেলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।

ওয়ার্নারের দাপুটে ব্যাটিং চলতে থাকে। মিচেল মার্শও ক্রিজে এসে ডানা মেলার আভাস দেন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন বলের মধ্যে দুবার উল্লাস করার মুহূর্ত এনে দেন আলজারি জোসেফ। বাড়তি বাউন্সে কুপোকাত হন মার্শ। ওয়ার্নার লেগ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল পুল করতে গিয়ে পারেননি। দুজনের ক্যাচই নেন উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরান।

স্টয়নিস দ্রুত ফেরেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও থিতু হতে ব্যর্থ হন। ১৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৬০ রান। এরপর আবার ক্যারিবিয়ান বোলারদের এলোমেলো হওয়ার পালা। ষষ্ঠ উইকেটে ২৩ বলে ৫০ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন ডেভিড ও ম্যাথু ওয়েড।

ওয়েড ১৪ বলে ২১ করে সাজঘরে ফিরলেও ডানহাতি ব্যাটার ডেভিড ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১৭ বল মোকাবিলায় মারেন চারটি চার ও একটি ছক্কা। ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ওয়েড ও শন অ্যাবটকে ফিরিয়ে আন্দ্রে রাসেল হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও পূর্ণতা দিতে পারেননি। মোট ৩ উইকেট নিতে ৪ ওভারে তার খরচা ৪২ রান।

Comments